পার্বত্য টট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হামিদা বেগমের বিরুদ্ধে তাঁর ছোট ভাই শফিউল আজমকে পৈতৃক ভিটা থেকে উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিছায় ক্রাইম রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন শফিউল। উচ্ছেদের প্রতিবাদ জানিয়ে বাড়িটি ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সহায়তা চেয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হামিদা বেগম বলেন. বাড়ি থেকে উচ্ছেদের বিষয়ে ছোট ভাই শফিউল আজম যে অভিযোগ করেছে, তা মোটেও সত্য নয়। জনসম্মুখে তার এমন অভিযোগ শুনে আমি বিস্মিত হয়েছি। হামিদা আরও বলেন, শফিউল কখনোই কোনো পেশায় জড়িত ছিল না, এখনও নেই। এ অবস্থায় সে কী উদ্দেশে বাড়ি উচ্ছেদ নিয়ে অভিযোগ করেছে, তা আমার বোধগম্য নয়।
শফিউল আজম বলেন, তাঁর বোন হামিদা বেগম ক্ষমতার অপব্যবহার করে পেশিশক্তির সহায়তায় ২০২১ সালের ১ এপ্রিল পৈতৃক ভিটার এক তলা পাকা বাড়ি থেকে তাকে উচ্ছেদ করেন । পরে শফিউল পৈতৃকভাবে পাওয়া আরেকটি প্লটে দোতলা বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছেন । এই বাড়ি থেকেও তাকে উচ্ছেদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শফিউল বলেন, নরসিংদীর মাধবদী থানার খোর্দ্দনওপাড়া গ্রামে তাঁদের পৈতৃক বাড়ি। সচিব হামিদা বেগম প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে পৈতৃক ভিটা থেকে আপন ছোট ভাইকে স্ত্রী ও শিশু সন্তানসহ উচ্ছেদ করেছেন। পরে অন্যত্র বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করলেও তাঁর রোষানল থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যাচ্ছে না।
শফিউল আরও বলেন, উচ্ছেদের পর বেশ কিছুদিন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করার পর পৈতৃকভাবে পাওয়া ১৫ থেকে ২০ ফুট গভীর অন্য একটি প্লটে মাটি ভরাট করে দোতলা বাড়ি নির্মাণ করেছি। সেখানে শিক্ষিকা স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করছি।
বোন হামিদা বেগম এই বাড়ি থেকেও আমাদের উচ্ছেদের চেষ্টা করছেন। তাঁর স্ত্রীকে দূরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বদলির জন্য শিক্ষা কর্মকতাদের চাপ দেওয়া হচ্ছে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন শফিউল।