প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খেলার উন্নতির জন্য দেশের প্রায় পাঁচশ উপজেলার প্রতিটিতে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গামাতা গোল্ডকাপের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে একথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছে ৬৫ হাজার ৭০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় আর খেলোয়াড়ের সংখ্যা ১১ লক্ষ ১৬ হাজার ৯০০; আর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় এই টুর্নামেন্ট ৬৫ হাজার ৭৯০টা বিদ্যালয় অংশগ্রহণ করেছে, আর খেলোয়াড় ১১ লক্ষ ১৮ হাজার ৫১৫।
২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের দুই টুর্নামেন্টের ফাইনাল হয় বৃহস্পতিবার। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ কাপ জিতেছে সিলেটের হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ জিতেছে ময়মনসিংহের পাঁচরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
শেখ হাসিনা দুটি টুর্নমেন্টের বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়ার আগে স্টেডিয়ামে বসে বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের ফাইনাল খেলা দেখেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেছে ৬৫ হাজার ৭০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় আর খেলোয়াড়ের সংখ্যা ১১ লক্ষ ১৬ হাজার ৯০০; আর বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় এই টুর্নামেন্ট ৬৫ হাজার ৭৯০টা বিদ্যালয় অংশগ্রহণ করেছে, আর খেলোয়াড় ১১ লক্ষ ১৮ হাজার ৫১৫।
বাংলাদেশ বিশ্বে একটা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে আমার মনে হয়। পৃথিবীতে আর কোনো দেশে এই ইতিহাস নেই। এত বিশাল সংখ্যায় টুর্নামেন্ট খেলা বা এত খেলোয়াড় আমার মনে হয় পৃথিবীর আর কোনো দেশ কোথাও আয়োজন করতে পারে নাই।
এই দুটি টুর্নামেন্ট চালুর সুফল তুলে ধরতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের নারী অনূর্ধ্ব-১৪, অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব- ১৮ ও জাতীয় দলে ৫০ জন খেলোয়াড়ের মধ্যে ৩৬ জন খেলোয়াড় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক ফুটবল টুর্নামেন্ট থেকে এসেছে।
ধীরে ধীরে তারা জাতীয় পর্যায়ে তাদের অবস্থান করে নিচ্ছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে।
ফুটবলের সঙ্গে পারিবারিক সম্পৃক্ততা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের পরিবারের সদস্যরা ফুটবল খেলার সাথে জড়িত। কাজেই এই খেলার প্রতি আমাদের একটা আলাদা আন্তরিকতা আছে।
আমার দাদা, তিনি ফুটবল প্লেয়ার ছিলেন। আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, তিনিও ফুটবল খেলতেন। আমার ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল সবাই ফুটবল খেলত।এখন আমার নাতি-নাতনিরাও ফুটবল খেলে। জয়ের মেয়ে ফুটবল খেলে, পুতুলের ছেলে-মেয়েরা ফুটবল খেলে, এমনকি রেহানার ছেলে ববি, তার ছেলে-মেয়ে, তারাও ফুটবল খেলে।
তিনি বলেন, “আমরা চাই আমাদের দেশের ছেলে-মেয়েরা খেলাধুলা করবে, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা করবে। তাদের শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, মন ভালো থাকবে। তারা ডিসিপ্লিন শিখবে এবং আগামী দিনে এই বাংলাদেশকে তারা নেতৃত্ব দেবে। সেটাই আমরা চাই । সেই জন্যই আমরা এই ধরনের আয়োজন করি।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এই অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ওই উপস্থিত ছিলেন।