সব শিক্ষককে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়নি। শুধু অনলাইন ক্লাস বা বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজের প্রয়োজনে দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। আর অনলাইন ক্লাস তদারকি ও তথ্য সংগ্রহ করতে শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দৈনিক শিক্ষাডটকমের পক্ষ থেকে করা এক প্রশ্নের জবাবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক এসব কথা বলেন। গত কয়েকদিন ধরে দৈনিক শিক্ষার পাঠকরা এ বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সুষ্পষ্ট মন্তব্য জানতে চেয়েছেন। বিষয়টি শিক্ষা অধিদপ্তরের নজরে আনা হয়। আজই স্পষ্ট করে আদেশ জারি হবে বলেও দৈনিক শিক্ষাকে জানান মহাপরিচালক।
গত ২২ সেপ্টেম্বর অনলাইন ক্লাস তদারকির জন্য স্কুল-কলেজ আকস্মিক পরিদর্শন করতে মাঠপর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তর থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকায় মাঠ পর্যায়ের কোন-কোন কর্মকর্তা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা কার্যালয়গুলো নিয়মিতভাবে পরিদর্শনের প্রয়োজন অনুভব করছেন না। কিন্তু সরকারের উদ্যোগে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষা কর্মকর্তারা অত্যন্ত প্রশংসনীয়ভাবে টিভি ও অনলাইন ক্লাসে দ্রুত অভ্যস্থ ও দক্ষ হয়ে উঠছেন। ডিজিটাল লিটারেসির উত্তরণ আরও ত্বরান্বিত করতে এবং নতুন উদ্যমে নিয়মিতভাবে শিক্ষা কার্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আকস্মিক পরিদর্শন করা অত্যাবশ্যক। তাই, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তার আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা কার্যালয়গুলো নিয়মিতভাবে আকস্মিক পরিদর্শন তথ্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাতে বলা হয়।
কিন্তু এ নির্দেশনা জারির পরে মাঠ পর্যায়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে। কিছু কিছু শিক্ষা অফিস থেকে সব শিক্ষক কর্মচারীদের স্কুল-কলেজে উপস্থিত থাকতে নির্দেশনা জারি করা হয়। গত ৬ অক্টোবর রাজবাড়ী জেলা শিক্ষা অফিস থেকে জারি করা এক আদেশে সব শিক্ষক-কর্মচারীকে প্রতিষ্ঠান উপস্থিত থাকতে নির্দেশনা দেয় হয়। এরকম আদেশ জারি করে আরও কিছু শিক্ষা অফিস। কিন্তু শিক্ষকরা বলছেন, কর্মকর্তাদের প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে বলা হলেও সব শিক্ষককে প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়নি। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জন্য জারি করা আদেশ নিয়ে সারাদেশে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে।
বিভ্রান্ত শিক্ষকরা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে ইমেইল ও টেলিফোন করে এবং নিয়মিত লাইভে প্রশ্ন করে এ বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সাথে।
সব শিক্ষককে প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কোন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, সব শিক্ষক প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি। শুধুমাত্র অনলাইন ক্লাস বা বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজের প্রয়োজনে দায়িত্ব প্রাপ্ত যেসব শিক্ষক আছেন, তারা সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব পালনে প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। আর অনলাইন ক্লাস তদারকি ও তথ্য সংগ্রহ করতে শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবেন।
এর কিছুক্ষণ পরেই মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ বিষয়টি স্পষ্ট করে আদেশ জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ল্যাব ও আইসিটি উপকরণ রক্ষণাবেক্ষণ ও সচল রাখা, নিয়মিত পতাকা উত্তোলন ও নামানো, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মনিটরিং ইত্যাদি প্রশাসনিক কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক কর্মচারীদের কথা শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠানো তথ্যছকে উল্লেখ করা হয়েছে। এর অর্থ সব শিক্ষক নয়।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।