সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপনের নির্দেশ

সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপনের নির্দেশ

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের দিনটিকে ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে উদযাপন করা হবে। সব সরকারি ও বেসরকারি এমপিওভুক্ত ননএমপিও স্কুল-কলেজ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিবসটি উদযাপনের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বুধব

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের দিনটিকে ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে উদযাপন করা হবে। সব সরকারি ও বেসরকারি এমপিওভুক্ত ননএমপিও স্কুল-কলেজ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিবসটি উদযাপনের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বুধবার (৩ মার্চ) সব স্কুল কলেজে ৭ মার্চ উদযাপনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এদিকে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়েও ৭ মার্চ উদযাপনের নির্দেশনা জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। 

সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপনের নির্দেশ

গতবছরের জুলাই মাসে ৭ মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা এবং দিবসটি উদযাপনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জারিকৃত এই বিষয়ক পরিপত্রের ‘ক’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা। সম্প্রতি ঐতিহাসিক ৭ মার্চে পতাকা উত্তোলনের বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই বিষয়ে জাতীয় পতাকা বিধিমালা-১৯৭২ সংশোধন করে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে গেজেট জারি হয়েছে। 

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস উদযাপনে এ দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ভাষণটি সকাল ১০টায় অনলাইনে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা অফিসগুলোকে। ৭ মার্চের ভাষণের ওপর ভিত্তি করে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পৃক্ত করে সকাল ১১টায় সব স্কুল-কলেজ ও শিক্ষা অফিসে অনলাইনে আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন করতে হবে। 

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ৭ মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় দিবসটি কেন্দ্র করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর পর সুবিধাজনক সময়ে যেকোন দিন শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভাগভিত্তিক ভাষণ প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে হবে। ষষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক বিভাগে, ৯ম ও ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের খ বিভাগে, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের গ বিভাগে ও স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইংরেজি ভাষায় ভাষণ উপস্থাপন করবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থী নিজ উদ্যোগে এ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। প্রত্যেক বিভাগে শ্রেষ্ঠ তিনজন ভাষণদানকারীকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হবে। 

এছাড়া ৭ মার্চ জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিতব্য কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে অনলাইযে যুক্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা উপভোগ করবেন। কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানের আগে ও পরে প্রতিষ্ঠানের স্ব স্ব অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে। এছাড়া ৭ মার্চ উদযাপনে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা অফিসে ব্যানার ফেস্টুন প্রদর্শন করতে হবে।    

এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সব বিভাগীয় উপপরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা ও থানা শিক্ষা অফিসারকে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দিবসটি উদযাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এদিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে হবে। এছাড়া ৭ মার্চ উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আলোচনা সভা করতে হবে। স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আমন্ত্রণ জানাতে হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য ৭ মার্চের ভাষণ মাইকে প্রচার করতে হবে। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতা, ছড়াপাঠ, কবিতা আবৃতি, চিত্রাঙ্কন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে। অনুষ্ঠানে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানাতে হবে।

সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপনের নির্দেশ

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE  করতে ক্লিক করুন।