এমপিওভুক্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের দাবি জানিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম। একই সাথে শিক্ষক কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ বাড়িভাড়া, উৎসব ভাতা ও চিকিৎসা ভাতা দিতে বাজেটে নির্দিষ্ট খাতে বরাদ্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন ফোরামের নেতারা। আর আসন্ন বাজেটে শিক্ষা খাতে জিডিপির ৬ শতাংশ ও জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ দেয়ার দাবিও জানিয়েছেন তারা। মঙ্গলবার (২৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো দাবিগুলো হল, ইউনেস্কোর সনদ অনুযায়ী এমপিওভুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা সরকারিকরণের লক্ষ্যে আগামী ২০২১- ২০২২ অর্থবছরের বাজেট বরাদ্দ রাখা, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ বাড়িভাড়া উৎসব ভাতা ও চিকিৎসা ভাতা প্রদানের লক্ষ্যে নির্দিষ্ট খাতে বরাদ্দ রাখা,শিক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ জিডিপির ৬ শতাংশ ও জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
শিক্ষকদের অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে আছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের পাঁচশত কোটি টাকা থেকে বরাদ্দ দেয়া, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অবশিষ্ট নন এমপিও প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেয়া।
শিক্ষকরা ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের আগের নীতিমালা অনুযায়ী সরকারি ও বেসরকারি প্রধান শিক্ষকদের ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল নির্ধারণ করার দাবিও জানান সংবাদ সম্মেলনে। একই সাথে জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন ও শিক্ষক সুরক্ষা আইন রেখে অনুমোদিত শিক্ষা আইন প্রকাশ করার দাবি জানান।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
শিক্ষক নেতারা বলেন, শিক্ষা বাজেট বরাদ্দ থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য খাতের সংশ্লিষ্টতা বাদ দিতে হবে। শিক্ষা খাতের বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ ২৮টি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে করা হয়। শিক্ষা খাতের বরাদ্দ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ব্যয় করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফোরামের মহাসচিব মো. আব্দুল খালেক। এতে সভাপতি মো. সাইদুল হাসানসহ ফোরামের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।