সম্মিলিত ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে সমন্বয় সাধন একটা বড় চ্যালেঞ্জ - দৈনিকশিক্ষা

সম্মিলিত ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে সমন্বয় সাধন একটা বড় চ্যালেঞ্জ

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই স্বপ্ন দেখেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেন, জীবনটাকে সাজিয়ে নেবেন, পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করবেন এবং দেশ ও দশের সেবা করবেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। পাড়ি দিতে হয় দুর্গম পথ। যারা সব বাধা অতিক্রম করে সফল হতে পারেন, তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।  কিন্তু অনেকের পক্ষেই কণ্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করা সম্ভব হয় না। পরীক্ষায় সফল হোক বা না হোক, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য পরীক্ষার্থীদের যে দুর্ভোগময় পথ পাড়ি দিতে হয়, তা নিরসন সময়ের দাবি। বিদ্যমান পরীক্ষা পদ্ধতিতে সব পরীক্ষার্থীর সমান সুযোগ ও সহজতর করে তোলা অসম্ভব কিছু নয়; যা একদিকে ভর্তিচ্ছুদের পরীক্ষার দুর্ভোগ হ্রাস করবে এবং অন্যদিকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে উপযুক্ত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তির সুযোগ পাবেন। দুর্ভোগমুক্ত পরীক্ষা ও উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের সুযোগের জন্য দরকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের  মানবিক বিবেচনাবোধ। বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বণিক বার্তা পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়। 

নিবন্ধে আরও জানা যায়,  বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। তবে পরীক্ষার সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারের শিক্ষা বা পরীক্ষার প্রস্তুতি, আর্থিক, মানসিক, শারীরিক ও নিরাপত্তাসহ কঠিন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এই অব্যাহত যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে এবং এর অমানবিক ও বাণিজ্যিক দিক বিবেচনায় ঠাট্টা করে একে এখন অনেকে ভর্তি পরীক্ষা না বলে ‘ভর্তি যুদ্ধ’ বা ‘ভর্তি বাণিজ্য’ বলেও অভিহিত করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ভর্তিচ্ছু হাজার হাজার শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের যে লাগামহীন দুর্ভোগের মুখোমুখি করে, তার বিশ্লেষণপূর্বক এর একটা গ্রহণযোগ্য সমাধান সময়ের প্রয়োজন। 

দেশের জনসংখ্যা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মসংস্থানের অনুপাত, প্রয়োজনীয়তা, সম্ভাব্যতা ইত্যাদি বিবেচনায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত নয়। এ কারণে প্রতি বছর যতসংখ্যক শিক্ষার্থী এইচএসসি বা উচ্চমাধ্যমিক ধাপ অতিক্রম করেন, সব শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়, বিশেষ করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ থাকে না। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আসন সংখ্যা মাথায় রেখে শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ সীমিত করা হয়েছে এবং তা নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষ ভর্তি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। একেক বিশ্ববিদ্যালয়ের রকম ও ধরন একেক রকম। ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতির ক্ষেত্রে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কেন্দ্রমুখিন সাযুজ্যপূর্ণ প্রবণতা থাকলেও এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভীষণ রকমের ‘স্বতন্ত্র’।

এমনিতেই ‘পরীক্ষা’ বিষয়টা প্রকৃতিগতভাবে অমানবিক; কারণ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ থাকলেও সবাই পাস করে না বা প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল অর্জিত হয় না। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষা সব বিচারেই অমানবিক। এ কারণে যে একজন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য এক বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক অনুষদে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হয়; শুধু তাই নয়, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে পরীক্ষা দিতে হয়। কারো বাড়ি যদি রংপুর হয়, তাকে চট্টগ্রাম যেতে হয়, কুমিল্লা যেতে হয়, ঢাকায়  যেতে হয়।

চট্টগ্রামে পরীক্ষা দিয়ে পরের দিন রাজশাহীতে পরীক্ষা দেয়ার জন্য রাতের বাসে বা ট্রেনে চড়তে হয়। অর্থাৎ এক জায়গা থেকে প্রায় একই সময়ে অনুষ্ঠিত অনেক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার যে আর্থিক ও নিরাপত্তাজনিত সমস্যা কাটিয়ে ওঠে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা বা ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। এমনকি একই দিনে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ফলে ইচ্ছা থাকলেও সব শিক্ষার্থীর পক্ষে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা সম্ভব নয়। আর্থিক, শারীরিক ও মানসিক দুর্ভোগের পাশাপাশি ছাত্রীদের জন্য রয়েছে বাড়তি ঝুঁকি।

ছাত্ররা হয়তো তাদের পরিবার নিয়ে অন্য কোনো শহরে গিয়ে হোটেলে থাকতে পারেন কিংবা তার পরিচিত বন্ধু-বান্ধব বা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া পরিচিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কটেজ বা হলে থাকার সুযোগ পান, যদিও তো আজকাল অনেক সীমিত হয়ে গেছে। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় আবার ‘সম্ভাব্য ঝুঁকি’ এড়ানোর নামে ভর্তি পরীক্ষার সময় হলগুলো বন্ধ রাখে। কিন্তু ছাত্রীদের জন্য ব্যাপারটি অত্যন্ত কঠিন, কারণ তাদের এসব দুর্ভোগের পাশাপাশি দেশে বিরাজমান যৌন সহিংসতার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হয়। যেখানে সেখানে গিয়ে তারা থাকতে পারেন না এবং যে কারো সঙ্গে তাদেরকে বাড়ি থেকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যেতেও দেয়া যায় না। অনেক পরিবারে বাবা বা ভাই থাকে না; আবার বাবা থাকলেও তারা হয়তো কোনো অফিসে চাকরি করেন, যেখান থেকে দিনের পর দিন ছুটি পাওয়া সম্ভব নয়। এ অবস্থায় ভর্তি পরীক্ষার সময় নিকটাত্মীয়দের কাউকে দিয়ে মেয়েদের কোথাও পাঠানো এখনকার বাস্তবতায় প্রায় অসম্ভব। এমন অবস্থায় মা, বাবা, ভাই সবাইকে যে পরিমাণে মানসিক ও আর্থিক দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়, তা দেখে মনে হয় জেনেশুনে দেশের উচ্চশিক্ষিত বুদ্ধিজীবীরা হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে চরম ভোগান্তির মধ্যে বেঁধে রাখছেন, যদিও তা একদম ইচ্ছাকৃত নয়; অবশ্যই পরিকল্পনা ও পদ্ধতিগত কারণে সৃষ্ট।

সময়ের প্রয়োজনে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে যুগোপযোগী পরিকল্পনার মাধ্যমে ও পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন এনে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ও সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোর অবাঞ্ছিত দুর্ভোগ অনেকটা লাঘব করা সম্ভব। যথাযথভাবে শিক্ষার্থীদের মেধার যাচাই-বাছাইপূর্বক তাদের ইচ্ছানুযায়ী পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তির সুযোগ উন্মুক্ত রাখা শিক্ষার অধিকার এবং অধিকারের বদলে তাদেরকে দুর্ভোগের মুখোমুখি করা সংগত নয়। তবে যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আসন সংখ্যা সীমিত, তাই পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের সীমিত আসনের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। তার পরও তাদের দুর্ভোগ কীভাবে কমানো যায়, তাদের আর্থিক, মানসিক ও নিরাপত্তাজনিত সমস্যাগুলো কীভাবে লাঘব বা দূর করা যায়, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন। অনেক দিন ধরে বিষয়টি নিয়ে কথা হচ্ছে, পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হচ্ছে, মন্ত্রণালয় থেকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকেও অনুরোধ করা হচ্ছে, যাতে সঠিক পরিকল্পনায় সমন্বিত পদ্ধতির প্রয়োগে সারা দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের (এবং প্রয়োজনে সম্ভব হলে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের) ভর্তি পরীক্ষাকে শিক্ষার্থীদের অধিকার, মানবিকতা ইত্যাদি বিবেচনায় সহজতর করা যায়। প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজগুলো যদি পারে, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত যদি পারে, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও পারবে। সকাল-বিকাল বিদেশের কথা বলা হয়, এক্ষেত্রে তাদের একটু অনুকরণ করলেই হয়।   

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতির বিবেচনায় অনেকেই ধারণা করেছিলেন এবার নিশ্চয় সারা দেশের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘব করার একটা উপায় বের হবে। যা-ই হোক, দুর্ভোগ পুরোপুরি লাঘব করা সম্ভব না হলেও একটা উপায় অন্তত বেরিয়েছে। প্রচলিত পদ্ধতির বদলে দুর্ভোগ লাঘব করার প্রয়াসে গুচ্ছ পদ্ধতির প্রস্তাব এসেছে। পাঁচটি প্রধানতম বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ‘গুচ্ছ পদ্ধতি’-তে পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে সহমত পোষণ করেছে। অভ্যন্তরীণ কাঠামো ও কিছু প্রক্রিয়াগত সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় আগে থেকে প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতিতে অনড় ছিল।

২০২১ সালে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অপরাপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো (৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৪) গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা না নিলেও পরীক্ষা কেবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে দেশের বিভাগীয় শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় নিয়েছে। ফলে সারা দেশ থেকে শিক্ষার্থীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা ঢাকা যেতে হয়নি। দুর্ভোগ অনেকটা লাঘব হয়েছে। কয়েক বছর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ও ভর্তি পরীক্ষার সংখ্যা (ইউনিট) কমিয়ে এনেছে। গুচ্ছ পদ্ধতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিকেন্দ্রীকরণ পরীক্ষা পদ্ধতি ও পরীক্ষার সংখ্যা হ্রাসকরণ ইত্যাদি সংস্কার ইঙ্গিত দেয় বিশ্ববিদ্যালয় যদি চায়, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ডিনরা যদি চান, তবে পরিবর্তন সাধন অসম্ভব নয়। প্রথাগত পরীক্ষা পদ্ধতি থেকে সরে এলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাতন্ত্র্য বা স্বায়ত্তশাসন হাতছাড়া হয়ে যায় না। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রয়োজন সাপেক্ষে পরিবর্তন আনতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা আন্তরিকতার পরিচয় দেবেন, এটাই জাতির প্রত্যাশা।  

যেহেতু প্রথাগত ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে আসার প্রবণতা ও উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ ইত্যাদির কথা বিবেচনা করে সেটিকে আরো সহজ করাও সম্ভব। পরিবর্তিত পরীক্ষা পদ্ধতি, যেমন গুচ্ছ পদ্ধতিতে কিছু সমস্যার কথা জানা গেছে। যেমন ইউনিট বা বিষয় পরিবর্তনের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের আর্থিক বোঝাসহ অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এ সীমাবদ্ধতাগুলো মাথায় রেখে সামনে আরো শিক্ষার্থীবান্ধব পরীক্ষার আয়োজনে সবাই আন্তরিক হবেন বলে দেশবাসীর বিশ্বাস।

প্রতিভাত সীমাবদ্ধতা, ভর্তিচ্ছুদের ভোগান্তি দূর করে কীভাবে ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিকে আরো কার্যকর ও বিজ্ঞানভিত্তিক করা যায়, শিক্ষার্থীদের মেধা, মননশীলতা এবং একাডেমিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক দিকটি কীভাবে যথাযথভাবে যাচাই করা সম্ভব, সেদিকে মনোনিবেশ করাই হবে জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা প্রকাশ ও প্রমাণের অন্যতম দিক। গুচ্ছ পদ্ধতি বা সম্মিলিত ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রে একটি প্রশ্ন আলোচনায় এসেছে, তা হলো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বায়ত্তশাসন বা বিদ্যমান স্বকীয় ধারা। স্বায়ত্তশাসন বা স্বকীয়তার কথা বলে হাজার হাজার শিক্ষার্থী এবং তাদের পরিবারকে বছরের পর বছর নিশ্চিত দুর্ভোগের মধ্যে নিপতিত রাখা স্বায়ত্তশাসনের মূল চেতনা তথা শিক্ষার অধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয় কি?

সুতরাং সব দেশের সব শিক্ষার্থী তথা নাগরিকের অধিকারের কথা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিদ্যমান অবস্থান থেকে সরে এসে সময়ের প্রয়োজনে কীভাবে দেশের মানুষের কাছাকাছি পৌঁছা সম্ভব এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে আরো বেশি করে শিক্ষাবান্ধব করে গড়ে তোলা যায়, সেদিকে মনোযোগী হয়ে ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়ার মধ্যকার সহসম্পর্ক স্থাপনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলে দেশ, জাতি ও পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা লাভবান হবে। 

গুচ্ছ পদ্ধতি বা সমন্বিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন বা অভ্যন্তরীণ সীমাবদ্ধতার কথা বলা হয়েছে। তবে স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত  স্বায়ত্তশাসন ও গণতান্ত্রিক অনুশীলনের কল্যাণে তাদের পক্ষে বিদ্যমান সংকট লাঘব করার নেতৃত্বদান সম্ভব। সম্মিলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে দেশব্যাপী সমন্বয় সাধন একটা বড় চ্যালেঞ্জ, যা মোকাবেলা করার জন্য সদিচ্ছাই যথেষ্ট। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে প্রশ্নপত্র ফাঁসও একটা সম্ভাব্য ঝুঁকি। এটিও দূর করা অসম্ভব নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি সম্মত হয়, সব বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা এবং ভর্তিসংক্রান্ত সমস্যাদি অতিক্রম করে তথা পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করে তথা শিক্ষা ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়ে বড় বা পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মানবিক মনোবৃত্তি নিয়ে জাতীয় দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হবে বলে বিশ্বাস। 

 

লেখক : ড. আলা উদ্দিন, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

আপিলে যাবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিকে বৃহস্পতিবারও ছুটি - dainik shiksha আপিলে যাবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিকে বৃহস্পতিবারও ছুটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত শিক্ষার্থীদের শাস্তি কোনো সমাধান নয় - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের শাস্তি কোনো সমাধান নয় হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয় - dainik shiksha হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয় দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে সেশনজটের শঙ্কা বুয়েটে - dainik shiksha সেশনজটের শঙ্কা বুয়েটে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে মাধ্যমিক প্রজন্মের উপার্জন কমবে ৩১ বিলিয়ন পাউন্ড - dainik shiksha মাধ্যমিক প্রজন্মের উপার্জন কমবে ৩১ বিলিয়ন পাউন্ড ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নির্মিত তাঁবু গুটাতে কলাম্বিয়া শিক্ষার্থীদের অস্বীকৃতি - dainik shiksha ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নির্মিত তাঁবু গুটাতে কলাম্বিয়া শিক্ষার্থীদের অস্বীকৃতি শিক্ষিকার উত্যক্তকারীকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ - dainik shiksha শিক্ষিকার উত্যক্তকারীকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ সর্বজনীন পেনশনে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি - dainik shiksha সর্বজনীন পেনশনে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0039710998535156