সরকারিকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাওয়ায় নিয়োগ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এনটিআরসিএর সুপারিশ পাওয়া দুইজন নিবন্ধিত প্রার্থীর। গত ২৪ জানুয়ারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪০ হাজার শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। সে প্রেক্ষিতে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজে বাংলার প্রভাষক পদে মো. নাঈম হাসান এবং অর্থনীতি বিষয়ে প্রভাষক পদে এনামুল নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি সরকারিকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাওয়ায় নিয়োগ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এ ২ সুপারিশপ্রাপ্তের।
এ বিষয়ে নাইম হাসান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, মেধা তালিকায় ৭১ তম অবস্থানে থেকে নিয়োগ সুপারিশ পেয়েছি। কিন্তু নিয়োগপত্র নিতে গিয়ে জানতে পারলাম প্রতিষ্ঠানটি সরকারিকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। ডিড অব গিফট সম্পাদনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাই প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগপত্র দিতে চাচ্ছেন না।
এদিকে সুপারিশপ্রাপ্ত এনামুল দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, মেধা তালিকায় আমার অবস্থান ২৯। সুপারিশ পেয়েছি। কিন্তু সরকারিকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাওয়ায় নিয়োগ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক চিকিৎসার জন্য বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন । এ কারণে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ রিপন কুমার দৈনিক শিক্ষাকে জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গত ১১ নভেম্বর ডিড অব গিফট সম্পাদন করতে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ২৪ জানুয়ারি এনটিআরসিএ ৩ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে। আমরা কি করবো বুঝতে পারছি না।
তিনি আরও জানান, আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা বরাবর সিদ্ধান্ত চেয়ে আবেদন করেছি। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও এনটিআরসিএকেও লিখিতভাবে চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত পেলে আমরা নিয়োগ পত্র দিবো।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাকে জানান, আবেদনটি আমরা পেয়েছি। ডিড অব গিফট সম্পন্ন হয়ে যাওয়ায় বিষয়টি স্পর্শকাতর। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মতামত প্রয়োজন। আবেদনগুলো ইতিমধ্যে শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। মহাপরিচালককে এ বিষয়ে জরুরিভিত্তিতে মতামত মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে।