আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সদ্য সরকারিকৃত ৩৩২ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষক-কর্মচারীকে আত্তীকরণের দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষকরা। এখনও যাদের আত্তীকরণ হয়নি তাদেরকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আত্তীকরণ না করা হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তারা। গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর সরকারি বধির হাই স্কুলে আয়োজিত সভায় সরকারিকৃত মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নেতারা এ দাবি জানান।
২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি বিদ্যালয়বিহীন উপজেলা সদরে একটি করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে সরকারিকরণের চূড়ান্ত সম্মতি দেন প্রধানমন্ত্রী। এতদিনেও ৩৩২ স্কুলের মধ্যে মাত্র ৫০/৫২টি পুরোপুরি সরকারিকরণ হয়েছে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় বাদবাকিগুলোতে কর্মরত প্রায় ৯ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী এখনও আত্তীকরণ হতে পারেননি। নতুন নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা থাকায় এবং পুরনোরা অবসরে যাওয়ায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে অনেক শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। সব মিলিয়ে চরম বিশৃঙ্খল অবস্থায় আছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
সভায় সভাপতি সুধাংশু শেখর তালুকদারসহ সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ও প্রতিষ্ঠান প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি ছিলেন দেশের শিক্ষা বিষয়ক একমাত্র ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকমের সম্পাদক ও প্রকাশক এবং শিক্ষাবিষয়ক একমাত্র প্রিন্ট পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তার নির্বাহী সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান খান।
নিজেদের দাবি তুলে ধরে সুধাংশু শেখর তালুকদার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো সব শিক্ষকের চাকরির বয়স ৬৫ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি করতে হবে। আত্মীকৃত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেসরকারি কল্যাণ ট্রাস্টের অর্থ কর্তন করা যাবে না। একুশ বিধিমালা অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেমন নতুন পদ সৃজন করা হয়েছে, তেমনি সদ্য সরকারিকৃত স্কুলেও এসব পদ সৃজন করা হোক। শরীর চর্চা ও শারীরিক শিক্ষা বিষয় নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। আমাদের যারা সদ্য সরকারি, তাদের মধ্যে যেন বদলিটা চালু করা হয়। সরকারিকরণের পরে যে সকল শিক্ষক এমএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন তাদের সনদ যেন কাউন্টে আনা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, আজকে দৈনিক শিক্ষা ডটকমের কোনো সমস্যা নেই, আর্থিকভাবে আমাদের কোনো চাহিদা নেই, কোনো লক্ষ্য নেই। যে কারণে আমরা সত্য কথাটা বলতে পারি। যে কেউ আমাদের টাকা পয়সার দিক থেকে আটকে দেবে, আটকানোর কোনো কিছু নেই।
দৈনিক শিক্ষাডটকম সম্পাদক বলেন, যারা বড় বড় মিডিয়া, তাদের টাকা পয়সার ব্যাপার থাকে, বিজ্ঞাপনের ব্যাপার থাকে, আটকানোর ব্যাপার থাকে। আমাদের আটকানোর কিছু নাই, আপনারা (শিক্ষক) আমাদের পড়িয়েছেন, সুখি মানুষের জামা নেই, তো আমাদেরও সেই অবস্থা।
সিদ্দিকুর রহমান খান আরও বলেন, এই অনুষ্ঠানটি হবার কথা ছিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দেবার জন্য, কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য। ২০১৬-২০২২ এর মধ্যে সব সমস্যার সমাধান হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু সেটা না হয়ে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজকে আমাদের এখানে ১৬-২০টির মতো সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে হয়েছে। এর পেছনে দায়ী কারা, সেটা আমরা বিভিন্ন সময় দৈনিক শিক্ষা ডটকমে লিখেছি। টকশোতেও বলেছি। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে যারা বাধা দিচ্ছেন, তারা কিন্তু চিহ্নিত। আমার পত্রিকার মাধ্যমে তাদেরকে আরো একটু চিহ্নিত করা এবং এগুলো সমাধান যাতে দ্রুত হয়, আপনাদের (শিক্ষক) কারো মনে যেন কোনও দুঃখ না থাকে, বেদনা না থাকে, সেগুলোর জন্য চেষ্টা করব।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।