প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রামণ রোধে গণজমায়েত না করার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও বরগুনার আমতলীর আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের গাজীপুর বন্দরে বসেছে সাপ্তাহিক হাট। বৃহস্পতিবারের (২ এপ্রিল) ওই হাটে অন্তত পাচ হাজার লোক জমায়েত হয়েছে। এতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পরার আশঙ্কায় দ্রুত প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন সচেতন নাগরিকরা।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, হাট ইজারাদারের লোকজন সরকারের নির্দেশনার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এ হাট বসিয়েছেন। সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জমছে ওই হাট। হাটে অন্তত পাঁচ হাজার লোক জমায়েত হয়েছে। হাটে আসা লোকজন ধুমছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করছে। হাটে হাজার হাজার লোক জমায়েত হওয়ায় সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছে না। এতে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে ওইদিন সকালে হাটে গণজমায়েতের খবর পেয়ে নৌবাহিনী ও পুলিশ ওই গিয়ে লোকজনকে ধাওয়া করেছে। কিন্তু নৌবাহিনী ও পুলিশের ধাওয়া মানছে না লোকজন। নৌবাহিনী ও পুলিশ সরে আসার পরপরই লোকজন আবার জমায়েত হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, হাট ইজারাদার আজিজুল হক, রতন মাস্টার, আবদুস সোবাহান মৃধা, শাহ আলম মোল্লা ও আবদুল ওহাব হাওলাদার সরকারের নির্দেশনার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হাট বসিয়েছেন। তারা ইচ্ছা করলে হাট না বসাতে পারতেন।
আমতলী উপজেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট এমএ কাদের মিয়া বলেন, করোনা ভাইরাস রোধে গণজমায়েত হওয়া মোটেও কাম্য না। এর বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই।
গাজীপুর বন্দর হাট ইজারাদার মো. আজিজুল হক রতন মাস্টার বলেন, হাট ইজারায় আমার একটি অংশ রয়েছে। আমি একা ইচ্ছা করলে সাপ্তাহিক হাট বন্ধ করতে পারি না। তিনি আরও বলেন, সকালে নৌ-বাহিনীর লোকজন এসে লোকজনকে ধাওয়া করেছে। নৌ-বাহিনী চলে যাওয়ার পর লোকজন আবার জমায়েত হয়েছে।
গাজীপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ সরোজিত কুমার দে বলেন, সকালে নৌ-বাহিনী ও পুলিশ গিয়ে গণজমায়েত হওয়া লোকজন সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, গণজমায়েত বন্ধে দ্রæত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, নৌ-বাহিনী ও পুলিশ পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।