করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ডিসি ফিটলিস্ট পরীক্ষায় সরাসরি অংশগ্রহণ করতে চান না বেশিরভাগ কর্মকর্তা। তারা মনে করেন, এসএসবি’র (সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড) সদস্যরা যেভাবে সচিব নিয়োগের ফিটলিস্ট প্রস্তুত করছেন, সেভাবে ডিসি ফিটলিস্ট করা উচিত। অথবা ভিডিও করফারেন্সের মাধ্যমে ডিসি ফিটলিস্টের তিন ধাপের পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে।
ডিসি ফিটলিস্ট তালিকায় থাকা কয়েক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিদিনই কোনো না কোনো কর্মকর্তা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে সবার হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন না পড়লেও বেশ কয়েকজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তাদের প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট ছাড়াও বেশি পরিমাণে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। এ অবস্থায় ডিসি ফিটলিস্টের জন্য সরাসরি মৌখিক পরীক্ষা নেয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে সবার জন্য।
সেক্ষেত্রে তারা মনে করেন, প্রথমত, যেভাবে সচিব নিয়োগের ফিটলিস্ট করা হচ্ছে সেভাবে করা যেতে পারে। নতুবা ভার্চুয়ালি নেয়াও সম্ভব। কিন্তু আগের মতো যেভাবে ডিসি নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষাসহ তিন ধাপের প্রতিটি সেশন সরাসরি নেয়ার আয়োজন করা হয়েছে তাতে করোনা ছড়ানোর ঝুঁকি থেকেই যাবে। এতে শুধু ডিসি ফিটলিস্ট পরীক্ষা দিতে আসা কর্মকর্তাদের জন্যই ঝুঁকি নয়, ফিটলিস্ট বোর্ডে থাকা সিনিয়র স্যারদের জন্যও বড় ঝুঁকি। কেননা মৌখিক পরীক্ষা ছাড়া ডিসি ফিটলিস্ট পরীক্ষায় প্রেজেনটেশন ও গ্রুপ ডিসকাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ পর্ব রয়েছে। এছাড়া ডিসি হওয়াকে জরুরি মনে করে কেউ কেউ করোনা আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও তথ্য গোপন করে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন। বাস্তবে সেটি হলে তা হবে খুবই দুর্ভাগ্যজনক।
প্রসঙ্গত, ১০ জানুয়ারি ডিসি ফিটলিস্ট পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। ২২তম ব্যাচের কিছু কর্মকর্তাসহ এতে ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের ফিটলিস্টে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মোট ৩৪৭ কর্মকর্তাকে কয়েকদফায় সাক্ষাৎকার নেয়া হবে। ১০, ১৪, ১৬, ১৮, ২১, ২৪, ২৮ ও ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন ৩০ জন করে ২৪০ কর্মকর্তার ফিটলিস্ট পরীক্ষা নেয়া হবে। অবশিষ্ট আরও ১০৭ কর্মকর্তার নাম চূড়ান্ত করলেও তাদের পরীক্ষার তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে।