কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সহকারি শিক্ষককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে দাঁতভাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।
রোববার (২০শে আগস্ট) উপজেলার দাঁতভাঙ্গা স্কুল এন্ড কলেজ লাইব্রেরিতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। অধ্যক্ষ বদিউজ্জামান তার কার্যালয়ে স্কুল শাখার শিক্ষক আব্দুল খালেককে ধারালো অস্ত্র (খনতা) দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই সহকারি শিক্ষক।
অভিযোগকারী শিক্ষক জানান, চলতি মাসের বকেয়া বেতন উত্তোলনের বিষয়ে জানতে গতকাল রোববার স্কুল শাখার সহকারি শিক্ষক আব্দুল খালেক অফিস কক্ষে গিয়ে অফিস সহকারি মামুনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন অধ্যক্ষ তার কক্ষে আলমারিতে তালা দিয়ে রেখেছে।
অফিস সহকারি মামুন অধ্যক্ষকে এ বিষয়ে জানালে তাৎক্ষনিক ভাবে সকল শিক্ষককে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে আসার জন্য বলেন ঐ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ। পরে শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনার একপর্যায়ে কথা কাটাকাটি হয় এবং অধ্যক্ষের পাশে থাকা ধারালো অস্ত্র (খনতা) দিয়ে স্কুল শাখার সহকারি শিক্ষক আব্দুল খালেক কে আঘাত করার চেষ্টা করেন তিনি। তখন পাশে থাকা শিক্ষকরা এগিয়ে গেলে তাদেরও অপমান করেন অধ্যক্ষ বদিউজ্জামান।
প্রত্যক্ষদর্শী স্কুল শাখার শিক্ষক শহীদুর জানান, এ ঘটনার সময় তিনিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এ প্রসঙ্গে দাঁতভাঙ্গা স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ বদিউজ্জামান বলেন, ‘আমার উপর ক্ষিপ্ত হওয়ায় তাকে খনতা দিয়ে মারার চেষ্টা করেছি। আমার জান বাঁচানোর জন্য আমি খনতা, দা, কুড়াল এবং ধারালো অস্ত্র (চাকু) এনে রেখেছি। তাতে কারো অভিযোগ থাকতে পারে না। যদি কোন শিক্ষক আমার উপর রেগে কথা বলে তাহলে তাকে আমি ছাড়বো না।’
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে দাঁতভাঙ্গা স্কুল ও কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছামিউল ইসলাম জীবন বলেন, বিষয়টি নিয়ে বসা হবে।
এ প্রসঙ্গে রৌমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহালম পারভেস জানান, বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ ধরণের কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।