মাদরাসায় সহকারী গ্রন্থাগারিক/ক্যটালগার নিয়োগের ওপর তিন মাসের স্থগিতাদেশ জারি করার পাশাপাশি সাধারণ ধারার শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে মাদরাসার সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগে শিক্ষাগত যোগ্যতা রাখা কেনো অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানী চলছে।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানী চলছে।
জানতে চাইলে রিটকারীদের পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আজকে এই বিষয়ে রুলের চূড়ান্ত শুনানীর জন্য আজকে আদালতে তালিকায় ছিলো। কিন্তু ফাইল না আসায় এটি শুনানী হয়নি। কালকে আবার শুনানী হতে পারে।
কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এর আগে এ বিষয়ে তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেছিলেন, মাদরাসার জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ এর ৩৫ নং কলামে উল্লিখিত সহকারী গ্রন্থাগারিক পদের নিয়োগে শিক্ষাগত যোগ্যতায় শুধু ফাজিল বা আরবি বিষয়ে অনার্স ডিগ্রি এবং গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে। ফলে, কলেজ-ইউনিভার্সিটি থেকে সাধারণ বিষয়ে স্নাতক বা অনার্স পাস করা থেকে গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে ডিপ্লোমাধারীরা বঞ্চিত হয়। তাই, সাধারণ ধারা শিক্ষিত ডিপ্লোমাধারীদের পক্ষ থেকে ওই বিধানের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে রিট মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও বলেছিলেন, মাদরাসায় সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগে শিক্ষাগত যোগ্যতায় সমমান না রাখা কেনো অবৈধ ঘোষণা করা হবে না মর্মে ৪ সপ্তাহের রুল জারি এবং চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়া ৩ মাসের স্থগিত রাখার আদেশ দিয়েছেন আদালত।