সহোদর দুই শিক্ষার্থী হত্যার দায় স্বীকার - Dainikshiksha

সহোদর দুই শিক্ষার্থী হত্যার দায় স্বীকার

জামালপুর প্রতিনিধি |

জামালপুরে দুই বোনকে গলা কেটে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার বাদী নিহত দুই বোনের বাবা শামীম হোসাইনের দুই চাচা। প্রথমে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে এবং পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে দুই বোনকে খুন করেছেন বলে স্বীকার করেছন তারা।

জামালপুর সদরের মেষ্টা ইউনিয়নের দেউলিয়াবাড়ী গ্রামে গত ২ আগস্ট দুই বোন ভাবনা আক্তার ও লুবনা আক্তার নিজ বাড়িতে নৃশংসভাবে খুন হয়। ওই খুনের ঘটনার ১৫ দিন পর মামলার দুই আসামি তামছেন আলী (৫৫) ও তার ভাই ওয়ারেছ আলী (৫০) বুধবার জামালপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে দুই বোনকে খুন করার দায় স্বীকার করেন।

জানা গেছে, নিহত দুই বোনের বাবা শামীম হোসাইন মালয়েশিয়া প্রবাসী শ্রমিক। তার স্ত্রী তাছলিমা বেগম দুই মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করতেন। ঘটনার রাতে তাছলিমা বেগম জামালপুর শহরে তার এক আত্মীয়ের বাসায় ছিলেন। দুই মেয়ে খুন হয়েছে শুনে তিনি পরদিন সকালে বাড়িতে গিয়ে দুই মেয়ের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। খবর শুনে তাদের বাবা শামীম হোসাইন ঘটনার এক দিন পর মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে আসেন। পরে তিনি বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় অজ্ঞাত আসামি  উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ওই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে শামীম হোসাইনের চাচা ওয়ারেছ আলীসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।

পরে সন্দেহভাজন ওয়ারেছ আলী আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। ওয়ারেছ আলীর জবানবন্দিতে তারই বড় ভাই তামছেন আলীর নামও আসে। এর জের ধরে পুলিশ জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে দুইজনকেই এ মামলায় আসামিভুক্ত করে। তামছেন আলীও আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ভাবনা আক্তার ও লুবনা আক্তারকে খুন করার দায় স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দেন।

জামালপুরের পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন পিপিএম বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে দুই আসামির আদালতে দেওয়া জবানবন্দি অনুসারে ঘটনার বর্ণনা দেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, জমি সংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধের জের ধরে মামলার বাদী শামীম হোসাইনের দুই চাচা তামছেন আলী ও তার সহোদর ওয়ারেছ আলী প্রথমে ছোট বোন চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী লুবনা আক্তার ও পরে বড় বোন নবম শ্রেণির ছাত্রী ভাবনা আক্তারকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।

পরে ওই ঘরে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে দুই বোনের মৃত্যু নিশ্চিত করেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তারা। আদালতে দেওয়া তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তারা আগের দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যারাতের দিকে ভাবনা আক্তারদের ঘরে ঢুকে টিভি দেখেন। এ সময় তিনি তাদের সঙ্গে খোশগল্প করেন এবং তাদের মায়ের খোঁজ নেন। আদালতে দেওয়া তাদের ভাষ্য অনুযায়ী তারা রাত ১২টার পরই দুই বোনকে খুন করেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন আরও জানান, সারা দেশে আলোড়নসৃষ্টিকারী চাঞ্চল্যকর দুই বোন খুনের প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে এসেছে। দুই আসামির দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও আলামত পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত আরও কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার চার্জশিট আদালতে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ - dainik shiksha শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মাকে নির্যাতনের অভিযোগ শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল - dainik shiksha সপ্তদশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা কাল দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা - dainik shiksha রোববার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা - dainik shiksha শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.00331711769104