বিশিষ্ট সাংবাদিক, রাষ্ট্রচিন্তক ও প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শোকবার্তায় নেতৃদ্বয় মরহুম মিজানুর রহমান খানের রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তারা বলেন, তার মৃত্যু মেধা চর্চার ক্ষেত্রে শূন্যতা সৃষ্টি হলো। তিনি ছিলেন মেধাবী ও সাহসী সাংবাদিকতার প্রতীক।
তারা বলেন, তার লেখনী শক্তি যেমন পাঠককে আকৃষ্ট করতো, ঠিক তেমনই মিজানুর রহমান খানের বলার শক্তিও শ্রোতাদের মুগ্ধ করতো। তার মৃত্যু সাহসী ও মেধাবী সাংবাদিকতার যে শূন্যতা সৃষ্টি করেছে তার পূরণে অনেক সময় লাগবে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে তিনি সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন।
নেতারা আরও বলেন, সাহসী, সাবলীল ও বিশ্লেষণধর্মী লেখনীর কারণে তিনি দীর্ঘকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। অত্যন্ত মেধাবী, সৎ ও নির্ভীক এক সাংবাদিক ছিলেন তিনি। একই সাথে এ প্রজন্ম ও আগামী প্রজন্মের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন একজন সাহসী কলম যোদ্ধা হিসাবে।
গত ২৭ নভেম্বর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন তিনি। প্রথমে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সেখানে সমস্যা বাড়লে গত ১০ ডিসেম্বর তাঁকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে রেখে চিকিৎসা করানো হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত শনিবার বিকেলে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। আজ সন্ধ্যা ছয়টা পাঁচ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক।
তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গনে ও সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বেলা ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁর মরদেহ কর্মস্থল দৈনিক প্রথম আলো অফিসে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে বাদ যোহর তাকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।