প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতকরণে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষক ও গবেষণা পরিষদের আহ্বায়ক মো. সিদ্দিকুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা ও সদস্য সচিব সুব্রত রায়।সারাদেশে সকল শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য একই কর্মঘণ্টা প্রবর্তনের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা। বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) দৈনিকশিক্ষা ডটকমে পাঠানো বিবৃতিতে এ দাবি জানান তারা।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ গত ২৯ জানুয়ারি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সুশৃঙ্খল ও সময়নিষ্ঠ হওয়ার প্রজ্ঞাপন জারিতে সাধুবাদ জানান। তারা শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের কর্মক্ষেত্রে নিয়মিত উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বিদ্যালয়মুখী করার লক্ষ্যে শিক্ষকদের নানাবিধ কাজে যাতে বিদ্যালয়ের পাঠদান ফেলে রেখে অফিসে যেতে না হয় সে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে অনুধাবন করার জন্য সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রাথমিক শিক্ষার সকল বৈষম্য দূর করার জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম দাবি হলো প্রাথমিকে শিক্ষাবান্ধব সময়সূচি বাস্তবায়ন করা। সারাদেশে কিন্ডারগার্টেন, বেসরকারি-সরকারি হাই স্কুলের সাথে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সময়সূচির বিশাল ব্যবধান।যার ফলে হতদরিদ্র অভিভাবকরাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে অনাগ্রহী।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, গ্রামেগঞ্জে এখন কিন্ডারগার্টেন বা বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিস্তার লাভ করেছে।প্রাথমিকে বিশেষভাবে এক শিফটের বিদ্যালয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সময়সূচি দীর্ঘ চার ঘণ্টা এবং তৃতীয়-পঞ্চম শ্রেণির সময়সূচি দীর্ঘ সাত ঘণ্টা। এ দীর্ঘ সময় শিক্ষার্থীদের আটকিয়ে না রাখা এবং সকল শিশুর জন্য অভিন্ন সময়সূচি প্রবর্তন করে বৈষম্য দূর করা প্রয়োজন। কেবলমাত্র ঢাকা মহানগরীর সময়সূচি আধঘণ্টা কমিয়ে শিক্ষার্থীদের বাসায় ফিরে খাবার খাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।এতে ঢাকা মহানগর বাদে সর্বত্র সময়সূচি না কমানোয় নতুন বৈষম্যের সৃষ্টি হলো বলে মনে করেন শিক্ষক নেতারা। তারা আরো বলেন, গ্রামাঞ্চলে সময়সূচির ফলে শিক্ষার্থীরা শারীরিক বিকাশের সহায়ক খেলাধুলার সময় পাচ্ছে না।