বগুড়ার সারিয়াকান্দী উপজেলায় শিক্ষক স্বল্পতায় বিঘ্নিত হচ্ছে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম। এ উপজেলার ১৬৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৩৪টি শিক্ষক পদ শূন্য আছে। দীর্ঘদিন ধরে শূন্যপদে নিয়োগ বা পদায়ন না করায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দুর্নীতি-অনিয়মের বেড়াজালে নিয়োগ ও পদায়ন ঝুলে আছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সারিয়াকান্দী প্রাথমিক উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানিয়েছে, উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৬৮টি। এরমধ্যে চরাঞ্চলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৪৩টি। এসব বিদ্যালয়ে পাঠদানরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩১ হাজার ৪৫৬ জন। ১৬৮টি অনুমোদিত পদের বিপরীতে কর্মরত প্রধান শিক্ষক রয়েছেন ১৩২ জন এবং শূন্য রয়েছে ৩৬টি। একইভাবে সহকারী শিক্ষকের অনুমোদিত ৭৪৫ পদে কর্মরত রয়েছেন ৬৪৭ জন এবং শূন্য রয়েছে ৯৮ টি পদ।
শিক্ষা অফিসের এক কর্মকর্তা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, প্রয়োজনের তুলনায় বরাবরই এখানে নিয়োগ পান অল্পসংখ্যক শিক্ষক।
আব্দুস সালাম ও রফিকুল নামের দুই অভিভাবকের দাবি, অবকাঠামোগত সমস্যা, নদীভাঙন ও গতিপথ পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক সমস্যা ছাড়াও রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর না হওয়া এবং শিক্ষকদের শহরমুখী হওয়ার প্রবণতা। এসব নানা কারণে সব সময়ই এখানে স্বল্পসংখ্যক শিক্ষক দিয়ে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে পাঠদানের চেষ্টা করা হয়।
সারিয়াকান্দী উপজেলা শিক্ষা অফিসার গোলাম কবির দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, জাতীয় ও প্রাকৃতিক কিছু ইস্যুর শিকার সারিয়াকান্দী উপজেলা। তবে কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকেই শিক্ষার মানোন্নয়নে নিয়মিত অভিভাবক সমাবেশ, মা সমাবেশ, শিক্ষকদের পাঠদান সংশ্লিষ্ট অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তাছাড়া শিক্ষকরা উপজেলার বাইরে থাকলেও সময়মতো বিদ্যালয়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়।