পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল বলেছেন, প্লাস্টিক দূষণ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে সাসটেইনেবল প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান চূড়ান্ত করছে সরকার। বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন থ্রি আর (3R- Reduce, Reuse, Recycle) পলিসি সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় কার্যকর করে প্লাস্টিক বর্জ্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সরকারের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
রোববার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত বিশ্বব্যাংর্কের প্রস্তুত করা ‘টুওয়ার্ড এ মাল্টিসেক্টরাল অ্যাকশন প্ল্যান ফর সাসটেইনেবল প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদন পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সভায় এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন বিদেশ হতে প্লাস্টিক বর্জ্য আমদানি নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করেন। তিনি বলেন, বিদেশ হতে প্লাস্টিক বর্জ্য আমদানি করলে দেশের প্লাস্টিক বর্জ্য পুনঃব্যবহার, পুনঃচক্রায়ন এবং হ্রাস নীতি কার্যকর হবে না। এছাড়া বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীন বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে উদ্ভাবিত সোনালী ব্যাগ বেসরকারি খাতের মাধ্যমে উৎপাদন করার জন্য তিনি সুপারিশ করেন। ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগ করে সোনালী ব্যাগকে জনপ্রিয় করে তুলতে উদ্যোগী হবেন বলে তিনি সভাকে জানান।
সভায় জানানো হয়, বর্তমানে ৩৭ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইকেল করা হয়। প্লাস্টিক অ্যাকশন প্ল্যানে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে ৮০ শতাংশ প্লাস্টিক রিসাইকল করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। একইসাথে ২০৩০ খ্রিষ্টাব্দে মধ্যে ৩০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন হ্রাস করা এবং ২০২৬ খ্রিষ্টাব্দেরমধ্যে ৯০ শতাংশ সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পরিহার করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। খসড়া অ্যাকশন প্ল্যানের ওপর উপস্থিত সদস্যদের সুপারিশ গ্রহণ করে এটিকে চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ অনু বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুজ্জামানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা, রাজউক, এফবিসিসিআই, প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুতকারক মালিক সমিতি এবং বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।