রাজধানীর কুর্মিটোলা সিভিল এভিয়েশন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস. এম. আমান-উর-রশিদের বিরুদ্ধে সপ্তম শ্রেণির একছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শাস্তি হিসেবে ফারিয়া তাবাস্সুম ঐশি নামের ওই ছাত্রীকে প্রখর রোদে ২ ঘন্টা দাঁড় করিয়ে রাখলে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তাকে উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঐশির বাবা সাইদুর রহমান দৈনিকশিক্ষা ডটকমের কাছে এ অভিযোগ করেছেন।
ঐশির বাবা বলেন, ‘সোমবার (১৩ আগস্ট) ঐশির মা স্কুল ছুটির পরে ঐশিকে আনতে দেরি করলে সে একাই বাসায় চলে আসে। এর পর মঙ্গলবার ঐশি স্কুলে গেলে প্রধান শিক্ষক এস. এম. আমান-উর-রশিদ তাকে টিসি (ছাড়পত্র) দেওয়া হুমকি দেন এবং প্রখর রোদে ২ ঘন্টা দাঁড় করিয়ে রাখেন। টানা দুই ঘন্টা রোদে দাঁড়িয়ে থাকার এক পর্যায়ে ঐশি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এসময় সহপাঠিরা ঐশিকে সাহায্যে এগিয়ে আসলেও প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকরা এগিয়ে আসেননি। খবর পেয়ে আমরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি।’
অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক এস. এম. আমান-উর-রশিদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে এ ব্যাপারে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক লিপি বলেন, ঐশিকে রোদে দাঁড় করিয়ে শাস্তি দেয়া হয়নি। সে এমনিতেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিভিল এভিয়েশন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস. এম. আমান-উর-রশিদ প্রায়ই শাস্তি দেয়ার নামে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করেন। নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে গেলে অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন তিনি। এর প্রতিবাদ করলে তাদের সন্তানদের বিদ্যালয় থেকে টিসি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকিও দেন প্রধান শিক্ষক।