সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের নবঘোষিত আংশিক কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন পদবঞ্চিত নেতৃবৃন্দ ও তাদের অনুসারীরা। কমিটি বাতিলের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারা। নবকমিটি বাতিল হওয়ার আগ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ প্রদর্শন ও অবরোধসহ টানা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন পদবঞ্চিতরা।
বুধবার বিকেলে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আগের জেলা কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার আলম সামাদ।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, আপনারা অবগত হয়েছেন যে- সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন, শত ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক ইতিমধ্যে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সিলেট জেলা ও মহানগর কমিটি ঘােষণা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উভয়ে ১ কোটি ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে অছাত্র, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলােচিত সিলেট এমসি কলেজের হােস্টেলে ধর্ষণ মামলার আসামিদের গড ফাদার, বিভিন্ন চেক অবমূল্যায়ন (ডিজঅনার) মামালার আসামি, বিশেষ করে ফ্রিডম পার্টির নেতার নাতিকে নিয়ে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি ঘােষণা করায় আমরা সিলেটের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা লজ্জিত, চরম হতাশ এবং বিভ্রত। আমরা ঘােষিত এই কমিটি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।’
শাহরিয়ার আলম সামাদ আরও বলেন, ‘আমাদের অভিভাবক সংগঠন সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মানিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সাথে কোনো প্রকার যােগাযােগ বা অবহিত না করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ টাকার বিনিময়ে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের যে কমিটি ঘােষণা করেছে সেটি সিলেট ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে। আমরা কোনোভাবেই অর্থের বিনিময়ে অছাত্র, অপরাধ রাজ্যের গডফাদার, বিভিন্ন চেক অবমূল্যায়নকারী (ডিজঅনার মামলার আসামি) ও ফ্রিডম পার্টির নেতার নাতি নিয়ে ঘােষিত ছাত্রলীগের জেলা ও মহানগর কমিটি মেনে নিবাে না।’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন, চরম অনিয়মের সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের ঘােষিত কমিটি বাতিল করে প্রকৃত ত্যাগী ও গ্রহণযােগ্য ছাত্রলীগ কর্মীদের নিয়ে সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি নতুন করে গঠনে আমরা আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে জেলা ও মহানগরের নবকমিটি বাতিল হওয়ার আগ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও অবরোধসহ টানা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন শাহরিয়ার আলম সামাদ।