তাৎক্ষণিক বিষয়ের ওপর চমৎকার গল্প বলা। বিজ্ঞানের নানা বিষয়ে ত্বরিত উত্তর প্রদান। ভাষার ওপর অসাধারণ দখল। সাহিত্যে যেমন সেরা, গণিতেও চৌকস। এমন মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেখা মিলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০১৯-এর জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায়। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় পর্যায়ে নির্বাচিত ১০৮ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্য থেকে সৃজনশীল পদ্ধতিতে সেরা ১২ শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হয়।
প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, ২০৪১ সাল আর বেশি দূরে নয়। এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে। উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্র্রদায়িক দেশ গড়তে হলে সৃজনশীল ও গুণগত শিক্ষার বিকল্প নেই। সরকার তাই সৃজনশীল ও গুণগত শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মুখস্থ বিদ্যা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। অতিরিক্ত পড়ার চাপ ও জিপিএ ৫ পাওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে শিশুদের রক্ষা করতে হবে। এ জন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, আধুনিক বিশ্বে উদ্ভাবনের বিকল্প নেই। তাই সৃজনশীল প্রক্রিয়াকে আরও এগিয়ে নিতে হবে। শিক্ষাকে কর্মমুখী হতে হবে।
সৃজনশীল মেধা অন্বেষণে প্রতিবছর এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ভাষা ও সাহিত্য, দৈনন্দিন বিজ্ঞান, গণিত ও কম্পিউটার এবং বাংলাদেশ স্টাডিজ এ চারটি বিষয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেদের মেধার পরিচয় রেখে বিজয় ছিনিয়ে আনে। নির্বাচিত ১২ জনের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সরকারি উদ্যোগে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ পাবে দেশসেরা এই ১২ শিক্ষার্থী।