ইউজিসি ও দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে সেবা প্রত্যাশীরা কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়া যেন সহজে সেবা পেতে পারে, সেজন্য সেবার তালিকা প্রণয়ন এবং সেবাসমূহ কিভাবে পাওয়া যাবে তা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে আপলোডসহ দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ। বুধবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির অংশ হিসেবে সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসির সদস্য এবং সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি পরিবীক্ষণ কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ এ নির্দেশনা প্রদান করেন।
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ও সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি পরিবীক্ষণ কমিটির সদস্য ড. শামসুল আরেফিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কমিশনের অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপপরিচালক ও সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি পরিবীক্ষণ কমিটির ফোকাল পয়েন্ট মো. আব্দুল আলীম।
প্রফেসর চন্দ বলেন, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় জীবিকা নির্বাহ করেন। তাই সেবকের মানসিকতা নিয়ে যথাসময়ে গুণগত সেবা প্রদানে সকলকে আন্তরিক হতে হবে। ইউজিসি বিভিন্ন বিভাগ ও শাখা থেকে কি কি সেবা প্রদান করা হয়, কিভাবে এসব সেবা পাওয়া যাবে, সেটি পরিষ্কারভাবে সিটিজেন চার্টারে বা নাগরিক সনদে যুক্ত করতে হবে। এটি ওয়েবসাইট ও দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে। নাগরিকের সুবিধার্থে সেবা প্রদানকারী ব্যক্তির পূর্ণ যোগাযোগ ঠিকানা/তথ্য সিটিজেন চার্টারে উল্লেখ করতে হবে এবং কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেলে সেবা প্রত্যাশী কোথায় অভিযোগ করবেন তাও সিটিজেন চার্টারে উল্লেখ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বাস্তব সমস্যার কারণে সেবা প্রদান বিলম্বিত হলে অবশ্যই তা কারণ উল্লেখপূর্বক সেবাগ্রহীতাকে জানাতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে সেবা দিতে না পারার জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে হবে। যথাসময়ে সেবা প্রদানে মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে।
ড. ফেরদৌস জামান বলেন, সেবা প্রদান সহজ করতে ইউজিসির সকল কর্মকাণ্ড পর্যায়ক্রমে অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। সিটিজেন চার্টারে নাগরিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সেবার তালিকা প্রণয়ন, লক্ষ্য নির্ধারণ এবং এটি অর্জনে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ফোকাল পয়েন্টেকে আহবান জানান তিনি।
কর্মশালায় ইউজিসি’র বিভিন্ন বিভাগের ৩৬ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।