আজ ১৪ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রবীন্দ্রোত্তর বাংলা নাটকের প্রাণপুরুষ অধ্যাপক ড. সেলিম আল দীনের ১৩ তম প্রয়াণ দিবস। যথাযথ মর্যাদায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের আয়োজনে প্রয়াত নাট্যকারের প্রয়াণ দিবস পালিত হয়েছে।
অমর একুশ ভাস্কর্য চত্তর থেকে সাড়ে বারোটায় একটি স্মরণযাত্রা সেলিম আল দীনের সমাধিস্থলে গিয়ে শেষ হয়। নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের সভাপতি ড. সোমা মুমতাজ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স বিভাগের সভাপতি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্বপ্নদল নাট্যসংগঠনের পরিচালক জাহিদ রিপন, দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গ, সেলিম আল দীনের আত্মীয়-স্বজনরা স্মরণযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।
সেলিম আল দীনের সমাধিতে আরও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার, ঢাকা থিয়েটার, সেলিম আল দীন ফাউন্ডেশন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরমেন্স বিভাগ, তালুকনগর থিয়েটার, স্বপ্নদল ঢাকা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার, বাংলাদেশের পুতুল নাট্য গবেষণা কেন্দ্র, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র, নাটক সংসদ, কলমা থিয়েটার, ভোর হোল, শহীদ টিটু থিয়েটারসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পী ও কলাকুশলীরা।
শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের পর সেলিম আল দীনের সমাধি চত্তরে অনুষ্ঠিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নাট্যব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বলেন, সেলিম আল দীন জাতীয় মনন ও বিশ্ব-ইতিহাস-ঐতিহ্যের সন্ধানে নাট্যচর্চা করেছেন। তাই তিনি আমাদের হয়েও বিশ্বমানব সমাজের একজন উজ্জ্বল মানুষ।
নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আফসার আহমদ বলেন, সেলিম আল দীন তাঁর কাজের মধ্যদিয়ে মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। আগামী প্রজন্মের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও গবেষকরা তাঁর নাটক নিয়ে গবেষণা করবেন।
বিভাগীয় সভাপতি ড. সোমা মুমতাজ বলেন, সেলিম আল দীন বাংলা নাটককে বিশ্বনাটকের মর্যাদায় উন্নীত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন।
এছাড়া সেলিম আল দীনের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ সেমিনার, ভার্চুয়াল আলোচনা সভা ও নাটক প্রদর্শনের আয়োজন করেছে।