সেশনজটের চিন্তা নয়, জীবন বাঁচানোই এখন গুরুত্বপূর্ণ : আরেফিন সিদ্দিক - দৈনিকশিক্ষা

সেশনজটের চিন্তা নয়, জীবন বাঁচানোই এখন গুরুত্বপূর্ণ : আরেফিন সিদ্দিক

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, সারা বিশ্ব থমকে গেছে মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে। বিভিন্ন দেশের মতো আমাদের দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী হয়তো এই ভেবে চিন্তা করছেন যে তারা সেশনজটে পড়ে গেলেন। কিন্তু এই মুহূর্তে সেশনজটের চিন্তা নয় বরং জীবন বাঁচানোই গুরুত্বপূর্ণ। গতকাল  আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। সোমবার (১৫ জুন) বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।  প্রতিবেদনটি লিখেছেন আকতারুজ্জামান।

প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, এ শিক্ষাবিদ আরও বলেন, উচ্চশিক্ষা স্তরে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বাদে বলা যায়, একাডেমিক শিক্ষা কার্যক্রম একেবারেই থমকে আছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভাগভিত্তিক ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা কম। সম্ভব হলে শিক্ষার্থীদের ডিজিটালাইজেশনের আওতায় এনে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হবে। যাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা যথাসময়ে তাদের কারিকুলাম শেষ করতে পারে। আরেফিন সিদ্দিক বলেন, কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থীই টাকা খরচ করে ইন্টারনেট প্যাকেজ কিনতে পারছেন না। তিনি আরও বলেন, অনেক এলাকায় ইন্টারনেট সাপোর্ট সেভাবে নেই।

কিন্তু যতদূর এগোনো যায় ততদূরই এগোতে হবে। আমরা ইতিমধ্যে ডিজিটাল মাধ্যমে সুফল পাচ্ছি। কীভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম বাড়ানো যায় সেটি বিবেচনা করতে হবে। সেক্ষেত্রে সরকারের তথ্য বাতায়ন, ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারসহ সরকারি নানা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিতে পারে শিক্ষার্থীরা। অনেক শিক্ষার্থীর ল্যাপটপ ও অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন নেই। তাই অনলাইন ক্লাস করতে না পেরে কোনো ছাত্রছাত্রী যেন আবেগের বশবর্তী হয়ে কোনো দুর্ঘটনার সৃষ্টি না করেন।

তিনি বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ও সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আরও বাড়তে থাকলে শিক্ষা কার্যক্রম কীভাবে চালিয়ে নেওয়া যায়, সেটি নিয়ে ভাবতে হবে। আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বর্তমানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তাই এ পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক্রমে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া যেতে পারে।

আপিলে যাবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিকে বৃহস্পতিবারও ছুটি - dainik shiksha আপিলে যাবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিকে বৃহস্পতিবারও ছুটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত শিক্ষার্থীদের শাস্তি কোনো সমাধান নয় - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের শাস্তি কোনো সমাধান নয় হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয় - dainik shiksha হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয় দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে সেশনজটের শঙ্কা বুয়েটে - dainik shiksha সেশনজটের শঙ্কা বুয়েটে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে মাধ্যমিক প্রজন্মের উপার্জন কমবে ৩১ বিলিয়ন পাউন্ড - dainik shiksha মাধ্যমিক প্রজন্মের উপার্জন কমবে ৩১ বিলিয়ন পাউন্ড ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নির্মিত তাঁবু গুটাতে কলাম্বিয়া শিক্ষার্থীদের অস্বীকৃতি - dainik shiksha ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নির্মিত তাঁবু গুটাতে কলাম্বিয়া শিক্ষার্থীদের অস্বীকৃতি শিক্ষিকার উত্যক্তকারীকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ - dainik shiksha শিক্ষিকার উত্যক্তকারীকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ সর্বজনীন পেনশনে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি - dainik shiksha সর্বজনীন পেনশনে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.007174015045166