মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফির মামলায় এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম তানিয়া কামাল এ রায় দেন। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাইফুল ইসলামের (৩৫) বাড়ি ঘিওর উপজেলার শাকরাইল গ্রামে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ত। বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় ওই ছাত্রীকে সাইফুল ইসলাম বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করতেন। ওই বছরের ২ আগস্ট সাইফুল ও তাঁর কয়েকজন সহযোগী ওই স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করেন। পরে সাইফুল ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন এবং তাঁর সহযোগীরা মুঠোফোনে আপত্তিকর অবস্থার ভিডিও করেন।
ঘটনার পরদিন স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সাইফুল ইসলামসহ তাঁর সহযোগী একই এলাকার নবীন মিয়া, মিলন মিয়া, সাদ্দাম হোসেন, রবিন মিয়া, পলাশ হোসেন ও জসিম মিয়াকে আসামি করে থানায় ধর্ষণ এবং পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। এ ঘটনায় ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ঘিওর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আবু তালেব তদন্ত শেষে সাইফুলসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। মামলায় ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ট্রাইব্যুনালের সরকারি বিশেষ কৌঁসুলি (পিপি) নূরুল হুদা। তিনি বলেন, সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আসামি সাইফুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।