রংপুরের তারাগঞ্জে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় অভিযুক্তকে আটক করলেও অভিযুক্তের পরিবারের লোকজন ওই ছাত্রীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার মা-বাবা পিটিয়ে আহত করেছে। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার হাঁড়িয়ারকুঠি গ্রামে।
এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাঁড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের উজিয়াল পাইকপাড়া গ্রামের নবম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে একই গ্রামের প্রভাবশালী আজিজার রহমানের পুত্র আরিফুল ইসলামের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের একপর্যায়ে আরিফুল ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেয়। এর মধ্যে গত সোমবার ওই ছাত্রী রাতে নিজ বাড়ির টিউবওয়েলে হাত-মুখ ধুয়ে সে তার শোবার ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমানোর প্রস্তুতি নেয়। এরই এক ফাঁকে বাড়ির লোকজনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ওই ছাত্রীর ঘরে ঢুকে খাটের নিচে লুকিয়ে পড়ে আরিফুল।
পরে সেখান থেকে বের হয়ে ওই ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে। এ সময় দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে এবং জোরপূর্বক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী চিৎকার দিলে পরিবারসহ আশপাশের লোকজন ছুটে এসে অভিযুক্ত আরিফুলকে আটক করে। এ খবর পেয়ে প্রতিবেশী আরিফুলের পরিবার এ ঘটনাকে সাজানো বলে দাবি করে।
একপর্যায়ে তারা জোটবদ্ধ হয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়িতে হামলা করে। এতে তার মা-বাবাসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে আরিফুলকে ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার ছাত্রীর বাবা আরিফুলসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তারাগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ওই ছাত্রীর জবানবন্দি ও তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।’
তারাগঞ্জ থানার ওসি জিন্নাত আলী বলেন, ‘লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত আরিফপলাতক। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।’