স্কুলের গাইডওয়াল যেনো ‘মরণ ফাঁদ’, খেলাধুলা করতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা | স্কুল নিউজ

স্কুলের গাইডওয়াল যেনো ‘মরণ ফাঁদ’, খেলাধুলা করতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাটি আটকানো গাইডওয়াল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে করে শিশু শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের মাঠে খেলাধুলা করতে পারছেন না। গাইডওয়ালটির বিভিন্ন জায়গায় বড়বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও পলেস্তেরা খসে পড়ছে। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ গাইডওয়ালটি ভেঙে পড়ে যেকোন

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাটি আটকানো গাইডওয়াল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে করে শিশু শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের মাঠে খেলাধুলা করতে পারছেন না। গাইডওয়ালটির বিভিন্ন জায়গায় বড়বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও পলেস্তেরা খসে পড়ছে। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ গাইডওয়ালটি ভেঙে পড়ে যেকোন মূহুর্তে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সরেজমিন উপজেলার দাঁতভাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।

জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় এলজিএসপি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের মাধ্যমে ১৬বছর আগে এ বিদ্যালয়ের ডিসি রাস্তার মাটি আটকানো গাইডওয়ালটি নির্মাণ করা হয়। এখন গাইডওয়ালটি মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে শিশু শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা থেকে এখন বঞ্চিত হচ্ছে। বিদ্যালয়টি ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে স্থাপিত হয়। এ প্রতিষ্ঠানে ২৯২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইন্নিকুনতুম, রাকিবুল ইসলাম, তানহা, শ্রাবন্তীসহ অনেকই দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ঝুঁকিপুর্ণ গাইডওয়ালের কারণে আমরা মাঠে খেলাধুলা করতে পারছি না। তাই দ্রুত গাইডওয়ালটি ভেঙে নতুন করে গাইডওয়াল নির্মাণ করলে আমরা আগের মতো মাঠে খেলতে পারবো। 

স্কুলের গাইডওয়াল যেনো ‘মরণ ফাঁদ’, খেলাধুলা করতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা

বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ঝুঁকিপুর্ণ গাইডওয়ালটির কারণে শিশু শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলাধুলা করতে পারছে না। তাই গাইডওয়ালটি ভেঙে দিয়ে বিদ্যালয় প্রাচীর করার জন্য জোর দাবি করছি। যাতে শিশু শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে পারে।

স্কুলের গাইডওয়াল যেনো ‘মরণ ফাঁদ’, খেলাধুলা করতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, গাইডওয়ালটির বিষয়ে সরেজমিন ওই প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি বিদ্যালয় প্রাচীর করার জন্যে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষে জানানো হবে।