নীলফামারী সদরের চকদুবুলিয়া সিডিউল কাস্ট দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা চলার সময় হলে প্রবেশ করে পরীক্ষার্থীদের খাতা, প্রবেশপত্র ও অন্যান্য মুলব্যান কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলেছেন ম্যানেজিং কমিটির এক অভিভাবক সদস্য ও স্থানীয় ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
শুক্রবার সকালে পূর্ব নির্ধারিত সময় সূচি অনুযায়ী নীলফামারী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দেখা যায় ম্যানেজিং কমিটি অভিভাবক সদস্য আব্দুর রশিদ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য উত্তম কুমার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করনের চেষ্টা চালান। নিয়োগ পরীক্ষায় একাধিক নিয়োগ প্রত্যাশি অংশ নেন।
চাকরি প্রত্যাশি পরীক্ষার্থী বিউটি আক্তার, শিউলি আক্তার ও মাহফুজাসহ অনেকেই দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন নিয়ম অনুযায়ী আমরা পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উপস্থিতি হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর ও উত্তর পত্র হাতে পেয়ে পরীক্ষা শুরু করি। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষন পর বাইরে থেকে কয়েকজন হলে প্রবেশ করে আমাদের সবার খাতা পত্র ও মুল্যবান কাগজ ছিনিয়ে নেয় এবং তা ছিঁড়ে ফেলে।
তারা আরও বলেন, মেধা অনুযায়ী যে যোগ্য নির্বাচিত হবেন তার চাকরি হলে আমরাও মেনে নেব।
পরে সব নাটকীয়তা শেষে আবারও নতুন করে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয় সেখানে।
ঘটনার বিষয়ে ম্যানের্জিং কমিটি অভিাভবক সদস্য আব্দুর রশিদ ও স্থানীয় ইউপি সদস্য উত্তম কুমার রায় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, গোপনভাবে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগের দেয়ার পায়তারা করছে। আমাদের সঙ্গে কোন প্রকার আলোচনা না করে তিনি নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করেছেন।
খাতাপত্র ছিঁড়ে ফেলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন, খাতা ছিড়েছি কোন পরীক্ষা নেওয়া হবে না।
চকদুবুলিয়া সিডিউল কাস্ট দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের পক্ষ থেকে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানানো হয়, সম্পূর্ণ স্বচ্ছ নিয়োগ পরীক্ষা বানচালের জন্য সন্ত্রাশী কায়দায় পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকে তারা হামলা চালিয়েছে প্রার্থীদের ওপর।
নীলফামারী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগে মনোনীত ডিজির প্রতিনিধি আব্দুল মতিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, বিধি মোতাবেক সব নিয়ম নীতি মেনে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষায় যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচন শেষে নিয়োগের জন্য কমিটিতে সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, একটি পক্ষ কেন্দ্রে ঢুকে নিযোগ পরীক্ষায় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করেন। তাদের বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে বলা হয়েছে।