দশমিনা উপজেলার এস এ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে নিয়োগে এক চাকরিপ্রার্থীর কাছে সাত লাখ টাকা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ওই পদের প্রার্থী বায়েজীদ হোসেন বাদী হয়ে মামলা করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাটাখালী গ্রামের অলিউল ইসলামের ছেলে বায়েজীদ হোসেন গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এস এ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে আবেদন করেন। ওই পদে নিয়োগের জন্য বিদ্যালয়ের সভাপতি শাহদাৎ হোসেন সিকদার (ওরফে ফোরকান সিকদার) ও প্রধান শিক্ষক মো. কাওসার, বায়েজীদ হোসেনের কাছে সাত লাখ টাকা দাবি করেন।
বায়েজীদ ওই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা অবৈধ পন্থায় ওই পদে অন্য লোক নিয়োগের পাঁয়তারা চালাচ্ছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট পদের জন্য আবেদন করলেও বায়েজীদকে কম্পিউটার ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় গতকাল দশমিনা সহকারী জজ আদালতে তিনি মামলা করলে বিচারক মো. আল আমীন নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন।
মামলায় বিদ্যালয়ের সভাপতি, প্রধান শিক্ষক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, পটুয়াখালী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড বরিশাল ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে বিবাদী করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কাওসারকে কল দিলে ফোন বন্ধ করে দেন। বিদ্যালয়ের সভাপতি শাহদাৎ হোসেন সিকদারের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।]সহকারী প্রধান শিক্ষক পরেশ চন্দ্র শীল বলেন, 'শুনেছি বায়েজিদ যে পদের জন্য আবেদন করেছে এস এ মাধ্যমিক বিদ্যালয় তাকে সেই পদের জন্য প্রবেশপত্র দেওয়া হয়নি'।[inside-ad
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া বলেন, 'আমি এখনও নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার আদালতের কোনো চিঠি পাইনি। বিদ্যালয়ের সভাপতি আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন পরীক্ষা স্থগিত করেছেন আদালত। আজ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।'