স্কুলে ভর্তির হার বেড়ে প্রায় শতভাগ, দাবি গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর | ভর্তি নিউজ

স্কুলে ভর্তির হার বেড়ে প্রায় শতভাগ, দাবি গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর

দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির হার বেড়ে প্রায় শতভাগে উন্নীত হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেছেন, এ হার বেড়ে ৯৭ দশমিক ৭৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। একই সাথে সাক্ষরতার হার বেড়ে ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নিত হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ২০০৫ খ্রিষ্ট

দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির হার বেড়ে প্রায় শতভাগে উন্নীত হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেছেন, এ হার বেড়ে ৯৭ দশমিক ৭৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। একই সাথে সাক্ষরতার হার বেড়ে ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নিত হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের সময় ছিল মাত্র ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ। 

স্কুলে ভর্তির হার বেড়ে প্রায় শতভাগ, দাবি গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর
মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) প্র্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন ঢাকায় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২০ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। -পিআইডি

মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস- ২০২০’ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নিরলস প্রচেষ্ঠায় ‘সবার জন্য শিক্ষা’ এবং ‘সহস্রাব্ধ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহ’ সাফলতার সাথে অর্জনের জন্য ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে ইউনেস্কো বাংলাদেশকে ‘শান্তি বৃক্ষ’ পদক দিয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতেৃত্বে বাংলাদেশে প্রথম আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপন করা হয়। কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের কারণে পুরো পৃথিবী আজ স্থবির হয়ে পড়েছে, উন্নয়নের চাকা অনেকটা থমকে গেছে। প্রায় ৫ মাস হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ মন্তব্য করে তিনি বলেন শিক্ষার্থীরা অনিশ্চিত অবস্থায় গৃহবন্দী হয়ে ক্লাসে যাবার অপেক্ষায় রয়েছে। এমন দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে দিবসটি সীমিত আকারে উদযাপিত হচ্ছে। এ বছর কোভিড-১৯ কে বিবেচনায় নিয়ে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘‘কোভিড-১৯ সংকট : সাক্ষরতা শিক্ষায় পরিবর্তনশীল শিখন-শেখানো কৌশল এবং শিক্ষাবিদদের ভূমিকা’’ নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষাই জাতির সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চাবিকাঠি এবং দক্ষ মানব-সম্পদ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভিত্তি। স্বাধীনতাপূর্ব শিক্ষাব্যবস্থা ছিল বৈষম্যমূলক ও অর্ধশিক্ষায় শিক্ষিত মেরুদণ্ডহীন মানুষ তৈরির পরিকল্পনা। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে  ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এবং ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭২৪ জন শিক্ষককে সরকারিকরণের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার অগ্রগতির সোপান রচনা করেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক শিক্ষাকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেনের সভাপতিত্বে আর্ন্তজাতিক সাক্ষরতা দিবসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অনান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক তপন কুমার ঘোষসহ বিভিন্ন সহযোগী দাতা সংস্থা ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা।