স্পর্শকাতর জায়গায় শিক্ষকের বেত্রাঘাত, ছাত্রীর আত্মহত্যা চেষ্টা - Dainikshiksha

স্পর্শকাতর জায়গায় শিক্ষকের বেত্রাঘাত, ছাত্রীর আত্মহত্যা চেষ্টা

রাঙামাটি প্রতিনিধি |

ক্লাসে পড়া না পারায় নিজ হাতে ছাত্রীর ইউনিফর্ম তুলে স্পর্শকাতর জায়গায় বেত্রাঘাত করেছেন এক শিক্ষক। পরে লজ্জায় অপমানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে ওই ছাত্রী। এমনটা ঘটিয়েছেন রাঙামাটি মডেল কেজি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আতাউর রহমান। ঘটনাটি কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো দোষ দেয়া হয়েছে ছাত্রীকে। তাই, ক্ষোভ সামলাতে না পেরে স্কুলের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে ভুক্তভোগী ছাত্রী।  গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে সে। এ ঘটনায় শিক্ষক আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হলেও তাকে এখনো গ্রেফতার করেনি পুলিশ।

শিক্ষার্থীরা জানায়, গত মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ক্লাসে পড়া দিতে ভুল করেছিল ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। সেদিন অনেকেই পড়া দিতে পাড়েনি। তাই, শিক্ষক আতাউর রহমান মোটা বেত এনে সবাইকে পিটিয়েছিলেন। ভুক্তভোগী মেয়েটির ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন আরও নির্দয়। আতাউর ওই ছাত্রীর ইউনিফর্ম নিজ হাতে তুলে স্পর্শকাতর জায়গায় বেত্রাঘাত করেছিলেন। ছাত্রীরা আরও জানায়, শিক্ষক আতাউরের আচরণ আগে থেকেই ছিল অশালীন। প্রায়ই তিনি ওই ছাত্রীকে বলতেন ‘এমন জায়গায় মারবো কাউকে দেখাতে পারবি না।’

গত ৩০ জুলাইয়ের ঘটনার পর লজ্জায় অপমানে বাসায় ফিরে মাকে ঘটনাটি জানায় ভুক্তভোগী ছাত্রী । তাই তার মা স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমানকে ঘটনাটি জানান। কিন্তু ফল হয় উল্টো। সহকারী প্রধান শিক্ষক মেয়েটির ঘাড়েই দোষ চাপান। তার সঙ্গে যোগ দেন স্কুলের শিক্ষিকা ফারজিয়া বেগম ও স্কুলের আয়া। এ দুজন মা-মেয়ের সামনেই অশ্লীল সব কথাবার্তা বলতে লাগলেন। এ অপমান সহ্য করতে পারেনি অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ওই ছাত্রী। রাগে-ক্ষোভে স্কুলের ছাদে গিয়ে সেখান থেকে লাফিয়ে পড়ে সে। এখন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে শয্যাশায়ী ছাত্রীটি।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ইংরেজির শিক্ষক আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হলেও তাকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি।

এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে - dainik shiksha এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির - dainik shiksha খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান প্রধান বিচারপতির উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি - dainik shiksha উপবৃত্তির সব অ্যাকাউন্ট নগদ-এ রূপান্তরের সময় বৃদ্ধি শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা - dainik shiksha শিক্ষক হতে চান না শিক্ষক দম্পতিদের কৃতী সন্তানরা কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস - dainik shiksha শিক্ষার্থী বিক্ষোভের মধ্যে ইহুদিবিদ্বেষ নিয়ে বিল পাস দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0045151710510254