স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন কাল - স্কুল - দৈনিকশিক্ষা

স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার দাবিতে শিক্ষকদের মানববন্ধন কাল

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারে স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার দাবি জানাচ্ছেন বিভিন্ন সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা। একইসঙ্গে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এন্ট্রিপদ নবম গ্রেডে উন্নীত করা, চার স্তরের একাডেমিক পদসোপন জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তাবায়নের দাবি জানাচ্ছেন তারা। এসব দাবিতে আগামীকাল শনিবার মানববন্ধন করবেন শিক্ষকরা। 'স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বাস্তবায়ন কমিটি' নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করবেন শিক্ষকরা।

শুক্রবার দুপুরে স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বাস্তবায়ন কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা ও সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির খুলনা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শিক্ষক নেতারা বলছেন, ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের জাতীয় শিক্ষানীতিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ভেঙে স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা অধিদপ্তর নামে দুটি আলাদা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার কথা বলা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে দিন দিন  মাধ্যমিক শিক্ষা অবহেলিত হচ্ছে বলে মনে করছেন শিক্ষকরা। ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে যোগদান করে অনেক শিক্ষক এখনো সহকারী শিক্ষক, কেউ সিনিয়র শিক্ষক, কেউ সহকারী প্রধান শিক্ষক আবার কেউ প্রধান শিক্ষক। একই ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্যে চারটি ভাগ হয়েছে। শিক্ষকদের টাইম স্কেল দেয়া হচ্ছে না। 

সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা বলছেন, আমাদের সমস্যার কথা বলে না অধিদপ্তর। প্রায় ২৪ হাজার প্রতিষ্ঠান মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রণ করে। এর মধ্যে ২০ হাজারের বেশি মাধ্যমিক। সাড়ে তিন হাজার কলেজ। কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রণ করেন সরকারি কলেজ শিক্ষকরা। মাধ্যমিকের আলাদা অধিদপ্তর হলে এবং তার নিয়ন্ত্রণে সরকারি স্কুলগুলোর শিক্ষকরা থাকলে সরকারি স্কুলের সমস্যাগুলো দূর হবে। তাই তারা আলাদা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। 

সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পক্ষ জানানো দাবিগুলো হলো, স্বতন্ত্র মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বাস্তবায়ন, সহকারী শিক্ষকদের বিদ্যমান পদের আপগ্রেডেশন করে এন্ট্রিপদ নবম গ্রেডে উন্নীতকরণ, সরকারি কলেজের মতো চার স্তরীয় পদসোপান বাস্তবায়ন, বিসিএস রিক্রুটমেন্ট রুলস ১৯৮০ অনুযায়ী বিসিএস সাধারণ শিক্ষা (ক্যাডারভুক্ত) বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় কর্মরত সহকারী প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের প্রস্তাবিত পৃথক মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে (মাসি) পরিচালক এবং আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালকের পদসহ পরিদর্শন শাখার অন্যান্য সব পদে শতভাগ পদায়ন নিশ্চিত করা। দ্রুত দীর্ঘদিনের বকেয়া টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেডের মঞ্জুরী আদেশ প্রদান, বিভিন্ন সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষকদের ব্যাচভিত্তিক নিয়মিত পদোন্নতি নিশ্চিত করা, ২০১০ (অংশ) ও ২০১১ ব্যাচের সহকারী শিক্ষকদের সিনিয়র শিক্ষকের শূন্য পদে পদোন্নতি দেয়া, সিনিয়র শিক্ষকদের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের ৫০ভাগ পদে দ্রুত বিধি মোতাবেক পদায়ন নিশ্চিত করা, কর্মরত সিনিয়র শিক্ষকদের সহকারী প্রধান শিক্ষক, সহকারী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শক ও সহকারী বিদ্যালয় পরিদর্শিকা পদে পদায়ন, দ্রুত নন-ক্যাডার শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ নিশ্চিত করা, অগ্রীম বর্ধিত বেতন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার দ্রুত নিরসন এবং মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের জন্য সুষ্ঠু ও সুসামঞ্জস্যপূর্ণ বদলি নীতিমালা বাস্তবায়ন ।

নতুন শিক্ষাক্রমের প্রশিক্ষণ পাবেন সাড়ে ২৫ হাজার প্রতিষ্ঠান প্রধান - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রমের প্রশিক্ষণ পাবেন সাড়ে ২৫ হাজার প্রতিষ্ঠান প্রধান জনগণের কল্যাণ সাধনই আমাদের লক্ষ্য : প্রধানমন্ত্রী - dainik shiksha জনগণের কল্যাণ সাধনই আমাদের লক্ষ্য : প্রধানমন্ত্রী পত্রিকার অনলাইনে রগরগে আর প্রিন্টে সফিস্টিকেটেড জিনিস ছাপে : জাফর ইকবাল - dainik shiksha পত্রিকার অনলাইনে রগরগে আর প্রিন্টে সফিস্টিকেটেড জিনিস ছাপে : জাফর ইকবাল উপজেলা চেয়ারম্যানদের ওপর ইউএনওদের ক্ষমতা বাতিল করলো হাইকোর্ট - dainik shiksha উপজেলা চেয়ারম্যানদের ওপর ইউএনওদের ক্ষমতা বাতিল করলো হাইকোর্ট বরিশাল শিক্ষা বোর্ডর নতুন চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন খান - dainik shiksha বরিশাল শিক্ষা বোর্ডর নতুন চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন খান ডিবির হাতে গ্রেফতার নাসিরই করেন শিক্ষক এমপিওভুক্ত! - dainik shiksha ডিবির হাতে গ্রেফতার নাসিরই করেন শিক্ষক এমপিওভুক্ত! ফলাফল ঘোষণা না করে পালাল শিক্ষক নিয়োগ কমিটি! - dainik shiksha ফলাফল ঘোষণা না করে পালাল শিক্ষক নিয়োগ কমিটি! জমির খাজনা আদায় হবে ইংরেজি অর্থবছরে - dainik shiksha জমির খাজনা আদায় হবে ইংরেজি অর্থবছরে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037469863891602