স্বাস্থ্য অধিদফতরের সেই ড্রাইভারের স্ত্রী নার্গিসকে আত্নসমর্পনের নির্দেশ | বিবিধ নিউজ

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সেই ড্রাইভারের স্ত্রী নার্গিসকে আত্নসমর্পনের নির্দেশ

দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা এক মামলায় স্বাস্থ্য অধিদফতর কোটিপতি সেই ড্রাইভার আব্দুল মালেকের স্ত্রী নার্গিস বেগমকে জামিন দেয়নি হাইকোর্ট। তাকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে আত্নসমর্পন করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার(২৪ ফেব্রুয়ারি) জামিন সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি

দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা এক মামলায় স্বাস্থ্য অধিদফতর কোটিপতি সেই ড্রাইভার আব্দুল মালেকের স্ত্রী নার্গিস বেগমকে জামিন দেয়নি হাইকোর্ট। তাকে বিচারিক (নিম্ন) আদালতে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে আত্নসমর্পন করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

বুধবার(২৪ ফেব্রুয়ারি) জামিন সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি  করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক। অপরদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন একেএম ফজলুল হক।

আইনজীবীরা জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের গাড়িচালক মালেকের বিরুদ্ধে চলা অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে তার ও তার স্ত্রীর অস্বাভাবিক সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুদক। সম্পদের তথ্য বিবরণী চেয়েছে দুদক। তারা সম্পদের হিসাব দিতে না পারায় মামলা করে দুদক। মালেক গ্রেফতার হওয়ার আগে থেকেই সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করা হয়েছিলো। 

২০১৯ খ্রিষ্টাব্দ থেকে মালেক সহ আরও ৪৫ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে এখন পর্যন্ত ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। 

এর আগে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২০ সেপ্টেম্বর অবৈধ অস্ত্র ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদের গাড়িচালক আব্দুল মালেক ওরফে মালেক ড্রাইভারকে রাজধানীর তুরাগ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

সূত্র জানায়, মালেকের স্ত্রীর নামে দক্ষিণ কামারপাড়ায় দুটি সাততলা বিলাসবহুল ভবন আছে। ধানমন্ডির হাতিরপুল এলাকায় ৪.৫ কাঠা জমিতে একটি নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন আছে এবং দক্ষিণ কামারপাড়ায় ১৫ কাঠা জমিতে একটি ডেইরি ফার্ম আছে। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থ গচ্ছিত আছে বলেও জানা গেছে। এভাবে শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন তিনি।

র‌্যাব জানায়, ড্রাইভার মালেকের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা, জাল টাকার ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। সে তার এলাকায় সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে শক্তির মহড়া ও দাপট প্রদর্শনের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে এবং জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল।