হার্ট অ্যাটাক রোধের দ্বারপ্রান্তে বিজ্ঞানীরা - দৈনিকশিক্ষা

হার্ট অ্যাটাক রোধের দ্বারপ্রান্তে বিজ্ঞানীরা

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

নতুন ওষুধে হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেইন স্ট্রোক আর হবে না। এই দুটি কিলার ডিজিজ রোধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। আর এটা হবে ওষুধ প্রয়োগ করে। এই ওষুধের মধ্যে এমন কিছু থাকবে যা এই দু’টি রোগের জন্য দায়ী ডিএনএকে পরিবর্তন করে দেবে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেইন স্ট্রোকের জন্য দায়ী কলেস্টোরলের উৎপাদন বাধাপ্রাপ্ত হলে মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ কমে যাবে।

উচ্চ রক্তচাপের কারণে হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেইন স্ট্রোকে ভোগে মানুষ। ডিএনএ স্থায়ীভাবে পরিবর্তন হওয়ার ফলে সামনের দিনগুলোতে এই দু’টি কিলার ডিজিজে মানুষ সহজে মরবে না। বিশ্বের কয়েক কোটি হৃদরোগীর জন্য এটা একটি সুখবর। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সম্মেলনে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এমন সুখবরই শুনিয়েছেন।

ডিএনএ পরিবর্তনে শরীরে কী ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে তা নিশ্চিত করে বিজ্ঞানীরা না বললেও এই চিকিৎসাটি তাদের জন্য রাখা হবে যাদের জরুরি প্রয়োজন এবং যারা রোগটিতে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলেছেন, নতুন এই ওষুধটি বাজারে এলে স্ট্যাটিন, ব্লাড থিনার (রক্ত পাতলাকরণ) এবং বিটা ব্লকারের মতো হার্ট ডিজিজের ওষুধগুলো অতীত হয়ে যাবে।

লস এঞ্জেলসের কার্ডিওলজিস্ট প্রফেসর কেরল ওয়াটসন নতুন এই ওষুধটি নিয়ে বলেন, এই ওষুধটি কতোটা বৈপ্লবিক হবে এটা সম্বন্ধে খুব বেশি জোর দিতে পারছি না। তবে এটা বলতে পারি যে, আমরা নতুন থেরাপিউটিক কৌশল, ওষুধের নতুন মলিকিউল এবং ওষুধ তৈরির নতুন কৌশলের যুগে প্রবেশ করছি। তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও আমরা এ বিষয়ে কেবল স্বপ্ন দেখতে পারতাম, তবে আমার মনে হয় না যে আমার জীবদ্দশায় এটা দেখতে পাব।’

ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের কার্ডিওলজির শীর্ষ গবেষক প্রফেসর টিম চিকো বলেন, যদি রোগ হওয়ার আগেই ওষুধটি প্রয়োগ করা হয় তাহলে আশা করা যায়, এর মাধ্যমে হৃদরোগ আরোগ্য লাভ করবে। তবে এটা খুব তাড়াতাড়ি চলে আসবে বলে মনে হয় না।

উল্লেখ্য, ইংল্যান্ডের হাসপাতালগুলোতে প্রতি বছর ১ লাখ মানুষ হার্ট অ্যাটাক নিয়ে ভর্তি হন। বাংলাদেশে প্রতি বছর দুই লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হার্ট অ্যাটাকে মারা যায়। এই হিসেবে প্রতি দুই মিনিটে একজন মারা যাচ্ছে হার্ট অ্যাটাকে। অন্য একটা হিসেবে বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ৩৪ শতাংশই হয়ে থাকে হার্ট অ্যাটাকে। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানের

অগ্রগতির কারণে প্রতি সাতজনে একজন হার্ট অ্যাটাক হলেও শেষ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে যান। মেইল অনলাইনে গত ১৮ নভেম্বর এ সংক্রান্ত একটি বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে বিজ্ঞানীরা আরেকটি ওষুধ পরীক্ষা করে দেখছেন। সেটা হলো-একটি প্রধান জিন পরিবর্তনের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে আনা এবং এই ওষুধটি আনতে পারলে ২০ শতাংশ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যাবে। আরেকটি ওষুধের (ভিইআরভিই-১০১) সিঙ্গেল ডোজে লিভারের ডিএনএ কোষে পরিবর্তন এনে এলডিএল (ক্ষতিকর) কোলেস্টেরল অর্ধেক কমিয়ে দেবে। এটা এ সংক্রান্ত দ্বিতীয় পরীক্ষাধীন ওষুধ।

দেশে পিএইচডিধারী ৫২ হাজার - dainik shiksha দেশে পিএইচডিধারী ৫২ হাজার নীতিমালা ভেঙে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিচ্ছে সামসুল হক খান স্কুল - dainik shiksha নীতিমালা ভেঙে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিচ্ছে সামসুল হক খান স্কুল প্রাথমিক ও ব্যাংকের পরীক্ষা একই দিনে, বিপাকে চাকরিপ্রত্যাশীরা - dainik shiksha প্রাথমিক ও ব্যাংকের পরীক্ষা একই দিনে, বিপাকে চাকরিপ্রত্যাশীরা শনিবারও অফিস করার সিদ্ধান্ত জবির নতুন উপাচার্যের - dainik shiksha শনিবারও অফিস করার সিদ্ধান্ত জবির নতুন উপাচার্যের স্কুল ও হাসপাতাল লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে জান্তা - dainik shiksha স্কুল ও হাসপাতাল লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে জান্তা ঢাবির তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগারে প্রফেশনাল মাস্টার্স করার করার সুযোগ - dainik shiksha ঢাবির তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগারে প্রফেশনাল মাস্টার্স করার করার সুযোগ শিক্ষা ক্যাডারে আত্তীকৃত ১৬২ জনের চাকরি স্থায়ী হলো - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে আত্তীকৃত ১৬২ জনের চাকরি স্থায়ী হলো please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0062398910522461