হুবহু বাজারি গাইডের প্রশ্ন এসএসসি পরীক্ষায়, তদন্ত শুরু - দৈনিকশিক্ষা

হুবহু বাজারি গাইডের প্রশ্ন এসএসসি পরীক্ষায়, তদন্ত শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক |

গাইড বই থেকে হুবহু তুলে দেয়া হয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের এসএসসির বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্ন। এ বিষয়ে দৈনিক শিক্ষাডটকমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিষয়টি আমলে নিয়ে তা তদন্ত শুরু করেছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড। ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম আমিরুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এস এম আমিরুল ইসলাম বলেন, বাজারি গাইড বই থেকে এসএসসির পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে হুবহু প্রশ্ন তুলে দেয়ার অভিযোগটি দৈনিক শিক্ষায় দেখার পর খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্তে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। জড়িতদের খুঁজে বের করতে কাজ শুরু করেছে।   

গতকাল সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষায় বেশ কয়েকটি প্রশ্ন গাইড বই থেকে হুবহু তুলে দেয়া হয়েছে। মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ৭০ নম্বরের সৃজনশীল। আর ত্রিশ নম্বরের এমসিকিউ। সৃজনশীল প্রশ্নের মধ্যে ৪০ নম্বরই হুবহু বাজারি গাইড বই থেকে কমন পড়েছে। অথবা অন্যভাবে বলা যায়, ৪০ নম্বরের প্রশ্ন তিন/চার বছর আগের অন্য শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নের সাথে প্রায় মিল। অথচ পুরনো প্রশ্ন না দেয়ার বিধান রয়েছে। উদ্দীপক অংশের কোনো কিছুই মেলার কথা নয়। এছাড়া এমসিকিউ অংশের কয়েকটি প্রশ্নের রয়েছে একাধিক উত্তর। ভুল প্রশ্নও রয়েছে। এতে বিভ্রান্ত হয়েছে পরীক্ষার্থীরা। তারা ক্ষতিগ্রস্থ। শিক্ষা বিষয়ক দেশের একমাত্র ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষার অনুসন্ধানে এ তথ্য জানা যায়।

এর আগে গতকাল ৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্রটিতে কুমিল্লা ও সিলেট বোর্ডের ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের একটি উদ্দীপক ও সংশ্লিষ্ট প্রশ্ন হুবহু এ বছরের ৯নং প্রশ্ন হিসেবে সেট করা হয়েছে।

উপন্যাস অংশের সাথে ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের বাংলা প্রথম পত্রের উপন্যাস অংশের ৮নং প্রশ্নটি এবছরের উপন্যাস অংশের ১০ নং প্রশ্ন হিসেবে সেট করা হয়েছে। যেখানে শুধু ক নং প্রশ্নটি পরিবর্তন করা হয়েছে। যেটা কাম্য নয়। এ প্রশ্নগুলো বিগত কয়েক বছর ধরে টেস্ট পেপার ও গাইড বইতে ছিল। 


 
ঢাকা বোর্ড ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ৮নং প্রশ্ন ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ৮ নং প্রশ্ন হিসেবে সেট করা হয়েছে। যদিও এখানে নাম ও ক নং প্রশ্নটি যদিও সামান্য পরিবর্তন করা হয়েছে।   

বরিশাল বোর্ড ২০১৭ এর ২নং প্রশ্ন ঢাকা বোর্ড ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ৩নং প্রশ্ন হিসেবে সেট করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে শুধু চরিত্রের নাম শিউলীর বদলে পারুল করা হয়েছে। 

এছাড়া এমসিকিউ অংশের প্রশ্ন নং ১৯, ২১, ২৩, ২৫, ২৯ ও ৩০-এর একাধিক উত্তর। পরীক্ষার্থীরা দৈনিক শিক্ষাডটকমের কাছে অভিযোগ করে বলেছেন, উত্তরগুলো কনফিউজিং। একটাই সঠিক উত্তর থাকার কথা থাকলেও কোনো কোনোটিতে তিনটি পর্যন্ত সঠিক উত্তর রয়েছে। 

প্রতিটি বোর্ডে আলাদা প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হয়। এর আগে সব সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে একপ্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হতো। 

আরও পড়ুন: একটা বাংলা প্রশ্ন করতে পারে না, শিক্ষা বোর্ড চালায় কীভাবে : ড. জাফর ইকবাল

গাইড থেকে হুবহু প্রশ্নে এসএসসির বাংলা পরীক্ষা, আছে ভুলও

সৃজনশীল পদ্ধতির উদ্দেশ্যই হচ্ছে শিক্ষার্থীদের সৃষ্টিশীলতা বাড়ানো এবং মুখস্থবিদ্যা ও গাইড বইয়ের ওপর নির্ভরতা কমানো। এ কারণে পাঠ্য বইয়ে প্রশ্ন দেয়া থাকে না। যে নমুনা প্রশ্ন থাকে তাও তুলে দেয়া যায় না। প্রশ্ন উদ্ভাবন করতে হয়। এ কারণে এক পরীক্ষার প্রশ্ন আগের কোনো পরীক্ষার প্রশ্নের সঙ্গে মিলবে না। কোনো গাইড থেকেও প্রশ্ন কমন পড়বে না। কিন্তু বারবারই এমন ঘটনা ঘটছে।

যদিও গতরাতে গাইড বই থেকে হুবহু তুলে দেয়া প্রশ্নপত্রের এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে গতানুগতিক জবাব দেন। কেউ কেউ বলেন, না এটা হতে পারে না। একটু হলেও পরিবর্তন আছে। আবার কয়েকজন বলেছেন, কারা এই প্রশ্ন করেছে তাদেরকে খুঁজে বের করে শাস্তি দেয়া হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে জিপিএ ফাইভ বিক্রি, পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষক, প্রশ্নকর্তা, প্রশ্ন সেটার ও মডারেটর এবং টাকার বিনিময়ে একাডেমিক স্বীকৃতি, পাঠদান অনুমতি, কমিটি অনুমোদন ইত্যাদি অভিযোগ শিক্ষা বোর্ডগুলোর বিরুদ্ধে। কিন্তু সব অভিযোগেরই সেট করা উত্তর।  

এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ - dainik shiksha এমপিও কোড পেলো আরো ১৪ স্কুল-কলেজ নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তূর্যের মৃত্যু পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ - dainik shiksha পরীক্ষার নাম এসএসসিই থাকবে, ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী - dainik shiksha ফরেনসিক অডিটে ফাঁসছেন দশ হাজার জাল সনদধারী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ - dainik shiksha প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পিএইচডি ফেলোশিপ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন - dainik shiksha জড়িত মনে হলে চেয়ারম্যানও গ্রেফতার: ডিবির হারুন সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা - dainik shiksha সপ্তম শ্রেণিতে শরীফার গল্প থাকছে, বিতর্কের কিছু পায়নি বিশেষজ্ঞরা please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0069389343261719