বিএমডিসির নিবন্ধনসহ ১০ দফা দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকালে আশুলিয়ার মির্জানগরে প্রতিষ্ঠানটির সামনে এমবিবিএস, বিডিএস ও ফিজিওথেরাপি বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়। তারা দুপুর ২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল বিভিন্ন দাবিসংবলিত ফেস্টুন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, সরকারি বিধি অনুযায়ী কোনো মেডিকেল কলেজ বেসরকারি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকতে পারবে না। অথচ গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ বেসরকারি গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থেকেই অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এতে করে তাদের এমবিবিএস, বিডিএস ও ফিজিওথেরাপি বিভাগের প্রায় সাড়ে ৪০০ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, তারা বিএমডিসির নিবন্ধন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাসহ ১০ দফা দাবি কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে এলেও তারা কর্ণপাত করছে না। তাই বাধ্য হয়ে তারা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। তাদের দাবিগুলো মানা না হলে রোববার থেকে আরও কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও জানায় শিক্ষার্থীরা।
এমবিবিএস কোর্সের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী জয়দেব বসাক ও ২২তম ব্যাচের তানজিলা আক্তার অভিযোগ করেন, আইন অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কোনো মেডিকেল কলেজ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না বলে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলেও গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থী ভর্তি করছে। এ ছাড়া তাঁদের মেডিকেল কলেজের লোগো সংবলিত কোনো পরিচয়পত্র না থাকা, পর্যাপ্ত ক্লাস না থাকা ও শিক্ষক সংকটসহ ১০ দফা দাবিতে তাঁরা অনেক দিন ধরেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। কিন্তু প্রশাসন তা আমলে না নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এ ব্যাপারে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. লায়লা পারভীন বানু বলেন, ‘বিষয়টির সমাধান কীভাবে করা যায় তা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি।’