১০ শতাংশ কর্তনের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে বিটিএর মানববন্ধন | সমিতি সংবাদ নিউজ

১০ শতাংশ কর্তনের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে বিটিএর মানববন্ধন

শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ ও সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা ও বাড়ি ভাড়া প্রদান এবং অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য ১০ শতাংশ কর্তনের আদেশের প্রজ্ঞাপনটি বাতিলের দাবিতে সারাদেশে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল এবং প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মা

শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ ও সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা ও বাড়ি ভাড়া প্রদান এবং অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য ১০ শতাংশ কর্তনের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে সারাদেশে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল  করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দৈনিকশিক্ষা ডটকমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়। মানববন্ধন শেষে তারা প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

বিটিএর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ কাওছার আলী শেখ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে কর্মসূচি পালন করায় সারাদেশের শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ। সরকার যখন এ ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে অগ্রসর হচ্ছিল তখন কিছু সুবিধাভোগী শিক্ষক নেতা আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ফেলে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে ১০ শতাংশ কর্তনের জন্য পৃথক দু’টি অযৌক্তিক ও অমানবিক গেজেট প্রকাশ করায়। যা পরবর্তী সময়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলনের ফলে স্থগিত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের  ১৭ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন পূর্বে ১০ শতাংশ কর্তনের জন্য পুনরায় একটি আদেশ জারি করেন শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইন। পরবর্তী সময়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রতিবাদে শিক্ষা সচিব ভুল স্বীকার করে উক্ত আদেশটিও প্রত্যাহার করে নেন। এরপর গত ৯ জানুয়ারি ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে অবসর সুবিধা বোর্ডের সভায় উপস্থিত সদস্যদের সামনে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন না করার অভিমত পূনর্ব্যক্ত করেন তিনি।

কিন্তু, গত ১৫ এপ্রিল শিক্ষক সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিদের সাথে কোনোরূপ আলোচনা ছাড়াই অতিরিক্ত ৪ শতাংশ সহ মোট ১০ শতাংশ কর্তনের জন্য মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে লিখিত আদেশ প্রদান করেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ২৫ এপ্রিল উপজেলা সদর, ৩০ এপ্রিল জেলা সদর ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এরপরও যদি তাদের দাবি মেনে নেয়া না হয় তাহলে একটানা ধর্মঘট ও আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা।