করোনা ভাইরাস দেশে ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধে সাধারণ ছুটি ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। ৯ এপ্রিল শবে বরাতের জন্য ছুটি। এছাড়া ১০ ও ১১ এপ্রিল যথাক্রমে শুক্র ও শনিবার। সেই হিসেবে ছুটির মেয়াদ ১১ এপ্রিল পর্যন্তই বাড়লো।
বুধবার (১ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে। ছুটির মেয়াদ ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ছে বলেও আদেশে পরিষ্কার করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির ধারাবাহিকতায় আগামী ৫ এপ্রিল থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো। ১০ এবং ১১ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি ও এর সাথে সংযুক্ত থাকবে।
আদেশে আরও বলা হয়, জরুরি পরিসেবার যেমন, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট ইত্যাদি ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে না। কৃষি পণ্য, সার, কাটিনাশক, খাদ্য, শিল্প পণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন এবং কাঁচা বাজার, খাবার, ঔষধের দোকান ও হাসপাতাল এ ছুটির আওতার বাইরে থাকবে। জরুরি প্রয়োজনে অফিস খোলা রাখা যাবে। প্রয়োজনে ঔষধ শিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্প কলকারখানা চালু রাখতে পারবে। মানুষের জীবন জীবিকার স্বার্থে রিক্সা ভ্যানসহ যানবাহন, রেল, বাস পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে।
আদেশে আরও বলা হয়, জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটির সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ ছুটি বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এবার আসন্ন পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান না করার কথাও বলেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ছুটি দিয়েছিলাম, হয়তো আমাদের আরো কয়েকদিন বাড়াতে হতে পারে। কারণ অনেকে গ্রামে চলে গেছেন সেখানে কোনো রকম যেন এ রোগের প্রার্দুভাব দেখা না দেয় সে সময়টা হিসেব করে- আমরা ১০/১২ দিনের ছুটি দিয়েছিলাম। এটা ১৪ দিন করতে হবে। … ৯ তারিখ পর্যন্ত হতে পারে। ছুটিটা সীমিত আকারে আমাদের একটু বাড়াতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, করোনা প্রতিরোধে মানুষের করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আপনারা এসব নির্দেশনা মেনে চলুন। কেননা নিজেদের সুরক্ষা নিজেদেরই করতে হবে।
এ সময় সবাইকে ঘরে অবস্থানের পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।