হিমালয়ের পাশের জেলা পঞ্চগড়ে দিন দিন বাড়ছে শীতের মাত্রা। আজ শুক্রবার জেলার তাপমাত্রা নেমেছে ১১ ডিগ্রির ঘরে। কনকনে শীতে কাঁপতে শুরু করেছে তেঁতুলিয়ার মানুষ। আজ ভোর ৬টায় জেলায় ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ এ তথ্য জানান। তিনি জানান, তেঁতুলিয়ায় টানা ৪ দিন ধরে একই তাপমাত্রা বিরাজ করলেও আজ আবারও তা কমে গেছে। কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ঘরে ওঠানামা করছে। কিন্তু আজ তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রির ঘরে নেমে এসেছে।
এদিকে শীতকে উপেক্ষা করে দরিদ্ররা ছুটছেন কাজের উদ্দেশ্যে। ভোরে বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়, ঘন কুয়াশা, সুর্য উঠলেও অন্ধকার কাটে না।
স্থানীয়রা বলছেন, জেলায় সূর্য ডুবতেই শুরু হয় তীব্র ঠান্ডা। ঘন কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের কিরণ ছড়ালেও অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত।
এদিকে শীতকে কেন্দ্র করে ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ-তোষক কারিগরদের। বিক্রি বেড়েছে মৌসুমি শীত বস্ত্রের দোকানগুলোতে। শীতের প্রস্তুতি হিসেবে শীত আসার দুয়েক মাসের আগে থেকেই কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায় কারিগরদের। এছাড়া ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানে শীতের কাপড় আনতে শুরু করেছেন। শীতের আগেই শীতের কাপড় এবং লেপ-তোষক তৈরি করে আগাম প্রস্তুতি নিতে দেখা যায় অনেককে।
শীতের কারণে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মনোয়ারুল ইসলাম জানান, জায়গার অভাবে শিশুদের মেঝেতে থাকতে হচ্ছে। বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করে চিকিৎসা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, শীত ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারিতে পড়লেও পঞ্চগড়ে আগেই শুরু হয়। হিমালয়ের পাদদেশে জেলার অবস্থান হওয়ায় শীতের প্রকোপ অনেক বেশি পড়ে এখানে।