হাইকোর্টে সদ্য নিয়োগ পাওয়া ১৭ অতিরিক্ত বিচারকের মধ্যে নয়জনই এলএলবিতে তৃতীয় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছেন। বাকিরা কেউই এলএলবি বা এলএলএমে প্রথম শ্রেণী পাননি। এ ছাড়া বেশির ভাগ অতিরিক্ত বিচারক তাঁদের শিক্ষাজীবনের একাধিক পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ পেয়েছেন। তিনজন অতিরিক্ত বিচারকের অন্তত তিনটি পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণী রয়েছে।
অথচ সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে বর্তমান সরকারের আমলে নিয়োগ দেওয়া ২১১ জন সহকারী বিচারকের কারও তৃতীয় বিভাগ নেই। বরং এদের মধ্যে এলএলবিতে ১৫ ও এলএলএম পরীক্ষায় ২৮ জন প্রথম শ্রেণী পেয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের নীতিমালায় বিচারক হতে ‘উৎকৃষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা’র কথা বলা আছে। তবে সদ্য নিয়োগ পাওয়া ১৭ অতিরিক্ত বিচারকের মধ্যে ১৫ জনই তাঁদের জীবনবৃত্তান্তে শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশ করেননি।
বিচারক নিয়োগ নীতিমালার অন্যতম শর্ত, প্রার্থীকে আপিল বিভাগেও স্বতন্ত্রভাবে মামলা পরিচালনায় অভিজ্ঞ হতে হবে। ১৪ জন বার সদস্যের মধ্যে মাত্র ছয়জন আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত। আপিল বিভাগে স্বতন্ত্রভাবে মামলা চালানোর অভিজ্ঞতার কথা অনেকেই উল্লেখ করেননি। ১৮ এপ্রিল শপথ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ১৭ অতিরিক্ত বিচারকের জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ করে।
অতিরিক্ত বিচারক মো. ফারুক এসএসসি ও এইচএসসি বাদে অন্য তিনটি পরীক্ষার ফলাফল জীবনবৃত্তান্তে প্রকাশ করেছেন। তিনটিতেই দ্বিতীয় শ্রেণী। আইনে একমাত্র ডিগ্রি এলএলবি। ১৭ জনের মধ্যে তিনিই জ্যেষ্ঠ। হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে মামলার পরিসংখ্যানও তিনি দিয়েছেন। বার কাউন্সিলে প্রত্যেক সদস্যের এসএসসি ও এলএলবির সনদের সত্যায়িত অনুলিপি থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু তাঁর এসএসসির সনদ টাইপ করা, সইবিহীন। এলএলবির সনদ হাতে লেখা।
প্রধান বিচারপতি নিম্ন আদালতের প্রত্যেক বিচারকের সম্পদ ও দায়দেনা ও শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ ১৩ ধরনের তথ্য চেয়েছেন। অনেকে এখনো তা দেননি। সম্প্রতি কড়া ভাষায় তাগাদাপত্র গেছে। এতে তথ্য না দিলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কঠোর হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। কোনো তথ্য অসত্য প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অসদাচরণের দায়ে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধানও রাখা হয়েছে। বিদায়ী রেজিস্ট্রার শওকত হোসেন ও কৃষ্ণা দেবনাথ ওই তথ্য দেননি বলে জানা যায়।
শওকত হোসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক সম্মান ও এমএ ডিগ্রি নেন। তাঁর জীবনবৃত্তান্ত অনধিক ৩০০ শব্দের। এতে কোনো পরীক্ষার ফলাফল উল্লেখ করেননি। আইনে তাঁর একমাত্র ডিগ্রি এলএলবি। কিন্তু সেটি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া, তা গোপনীয় নথিতেও নেই। তবে সম্মান ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষাতেও তিনি দ্বিতীয় শ্রেণী পান। তার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাসংক্রান্ত কোনো তথ্য জানা যায়নি।
কৃষ্ণা দেবনাথ ছিলেন ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ। তিনি তাঁর এক পৃষ্ঠার বৃত্তান্তে কোনো পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেননি। যদিও তিনি সব পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগ পেয়েছেন বলে জানা যায়।
এ এন এম বশির উল্লাহ ছিলেন ঢাকা মহানগর জজ। তিন জেলা জজের মধ্যে শুধু তিনিই সুপ্রিম কোর্টে তথ্য দেন। তিনি এসএসসিতে পপ্রথম ও এইচএসসিতে দ্বিতীয় বিভাগ এবং এলএলবি সম্মান ও এলএলএমে ‘কৃতিত্বের’ সঙ্গে উত্তীর্ণ হন বলে উল্লেখ করেন। অবশ্য জীবনবৃত্তান্তে এ দুটি পরীক্ষার ফলাফল তিনি দেননি। তবে জানা যায়, দুটোতেই তাঁর দ্বিতীয় শ্রেণী রয়েছে।
এফ আর এম নাজমুল আহসানের নামের পূর্ণরূপ জানা যায়নি। তাঁর এসএসসির সনদেও এর উল্লেখ নেই। তাঁর বৃত্তান্ত এক পৃষ্ঠার। চারটি সম্মেলনে যোগদানের তথ্য তিনি এতে দিয়েছেন। তবে কোনো মামলা পরিচালনাসংক্রান্ত তথ্য তিনি দেননি। নিজ শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে শুধু লিখেছেন, বিএ অনার্স, এমএ, এলএলবি। জানা যায়, ১৯৭০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় তিনি ‘পাস’ করেন। এর এক যুগ পর এলএলবি ডিগ্রি নেন (তৃতীয় শ্রেণী)। ১৯৮৪ সালে তিনি অ্যাডভোকেটশিপ পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন।
নতুন বিচারক আবদুর রবও পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেননি। জানা যায়, আইনে তাঁর একমাত্র ডিগ্রি এলএলবি, তৃতীয় বিভাগ। ওকালতি পড়েন স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার সাত বছর পর। স্কুলের ছাত্র ইউনিয়ন শাখা বা হল সংসদের জিএস থাকা, এমনকি ব্যক্তিগত শখের তথ্যও তিনি প্রকাশ করেছেন। তবে স্বাধীনভাবে মামলা পরিচালনাসংক্রান্ত কোনো তথ্য দেননি।
কাজী রেজাউল হক সবচেয়ে তুখোড়। প্রতিটি পরীক্ষার ফলাফল তিনি যথাযথভাবে প্রকাশ করেন। কোনো তৃতীয় বিভাগ নেই। পিএইচডি, এমবিএ ও এলএলএমে তাঁর বিদেশি ডিগ্রি আছে। তবে আপিল বিভাগে স্বতন্ত্রভাবে মামলা পরিচালনার কোনো তথ্য তিনি দেননি।
আবু জাফর সিদ্দিকীর দুই পৃষ্ঠার বৃত্তান্ত চমকপ্রদ। ক্ষুদিরাম থেকে লালন শাহ পর্যন্ত কুষ্টিয়ার সব মনীষী ও প্রসিদ্ধ স্থানের নাম উল্লেখ করার পর তিনি বলেন, এ রকম একটি জেলায় তাঁর জন্ম। স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন, কিন্তু নিজেরটা দেননি। জানা যায়, এসএসসিতে তিনি তৃতীয় বিভাগ পান। কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক থাকার তথ্যও তিনি চেপে গেছেন। কুষ্টিয়ায় এপিপি এবং বিশেষ পিপি হিসেবে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতাও তিনি প্রকাশ করেননি। আপিল বিভাগের আইনজীবী তিনি নন। তবে মোটা হরফে উল্লেখ করেন, তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় সরকার নিযুক্ত অন্যতম কৌঁসুলি হিসেবে আপিল বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন।
এ কে এম জহিরুল হক তাঁর জ্যেষ্ঠ ছেলে ঠিকাদার এবং মেয়ের জামাই পিএইচডি করার মতো তথ্যও দেন। কিন্তু তিনি তাঁর পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল গোপন রাখেন। জানা যায়, এইচএসসি পাসের চার বছর পর তিনি বিএসসি ডিগ্রি নেন। এর ফলাফল জানা সম্ভব হয়নি। তবে আইনে তাঁর একমাত্র ডিগ্রি এলএলবি (তৃতীয় শ্রেণী)। ২৯ আগস্ট ১৯৮৪ তিনি বার কাউন্সিলে এক আবেদনে উল্লেখ করেন, ‘আমি গত বছর অনুষ্ঠিত অ্যাডভোকেটশিপ পরীক্ষায় পাস করিনি। আমাকে দ্বিতীয়বার সুযোগ দিন।’ গত বছর জুলাইয়ে তিনি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হন। জহিরুল হক অবশ্য দাবি করেন, তিনি হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মামলা দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করেছেন। এর মধ্যে তিনি নির্দিষ্টভাবে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও পঞ্চম সংশোধনী মামলার কথা উল্লেখ করেন।
জাহাঙ্গীর হোসেনের জীবনবৃত্তান্ত এক পৃষ্ঠার। ১৯৯২ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্ট বারে তালিকাভুক্ত হলেও ঢাকা বারে তিনি সক্রিয় ছিলেন। পিপি হিসেবে বিশেষ পরিচিত। আপিল বিভাগে আইনজীবী হতে তাঁর আবেদন মঞ্জুরও হয়নি। শিক্ষাগত যোগ্যতা শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমকম ও এলএলবি উল্লেখ করেন। জানা যায়, এসএসসিতে তৃতীয় বিভাগ ও এলএলবিতে পেয়েছেন তৃতীয় শ্রেণী। তিনি দুটি মামলা পরিচালনার তথ্য দেন। তাঁর কথায়, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আপিল বিভাগে সহায়তা এবং একই মামলায় দায়রা আদালতে বিশেষ পিপির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৫ সালে আইনজীবী হওয়ার পরীক্ষায় তিনি অকৃতকারর্য হন।
শেখ মো. জাকির হোসেনও কোনো পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেননি। এসএসসি ও এলএলবিতে তৃতীয় বিভাগ পান এবং এইচএসসি পাস করতে তাঁর তিন বছর লেগেছে বলে জানা যায়। এর ফল জানা যায়নি। অভিজ্ঞতা হিসেবে লেখেন, তিনি ‘হাইকোর্টের অধস্তন বিভিন্ন কোর্টে বিভিন্ন ধরনের’ মামলা পরিচালনা করেন। জজ কোর্টে পাঁচ ও হাইকোর্টে ১৭ বছর কাটান। তবে তিনি আপিল বিভাগে কখনো মামলা পরিচালনা করেছেন বলে দাবিও করেননি। তাঁর একটি ‘ল’ ফার্ম আছে। তাঁর ভাষায়, এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আয়কর, রিট ইত্যাদি মামলা করার অভিজ্ঞতা আছে।
মো. হাবিবুল গনি ‘পাঠ্যসূচি বহির্ভূত’ হিসেবে অর্ধডজন বিষয় উল্লেখ করেন। এতে তিনি ১৫ বার দেশে-বিদেশে রক্তদানের তথ্যও দেন। কিন্তু তিনি তাঁর পরীক্ষাসমূহের ফলাফল গোপন রাখেন। তবে জানা যায়, এইচএসসি ও বিএ পরীক্ষায় তিনি তৃতীয় বিভাগ পান। আইনে একমাত্র ডিগ্রি এলএলবি। এতেও তৃতীয় শ্রেণী পান। দেওয়ানি, ফৌজদারি, রিট, অ্যাডমিরালটি ও কোম্পানি বিষয়ে অভিজ্ঞ দাবি করেন। কিন্তু কোনো মামলার নির্দিষ্ট তথ্য দেননি।
গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর তাঁর পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেননি। আইনে তাঁর একমাত্র ডিগ্রি এলএলবি। তৃতীয় শ্রেণী পান। স্নাতকেও তাঁর তৃতীয় বিভাগ। তিনি অবশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসে ১৯৮৪ সালে সেলিম-দেলোয়ারের সঙ্গে ট্রাকচাপার ঘটনায় আহত হওয়ার তথ্য দিয়েছেন। এতে তাঁর পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটে। আপিল বিভাগের আইনজীবী হন ২০০৯ সালে। তিনি উল্লেখ করেন, বেশ কিছু মোকদ্দমা বিভিন্ন ‘ল’ জার্নালে ছাপা হয়েছে।
শেখ হাসান আরিফ ২০০৫ সালে বার অ্যাট ল হওয়ার তথ্য দেন। কিন্তু তিনি অন্য কোনো পরীক্ষার ফলাফল বা পাসের বছর প্রকাশ করেননি। মামলা পরিচালনাসংক্রান্ত কোনো তথ্যও দেননি। আপিল বিভাগের আইনজীবীও তিনি নন। তিনি এইচএসসি, বিকম ও এলএলবিতে তৃতীয় বিভাগ পান বলে জানা যায়। ১৯৯৫ সালে এক দরখাস্তে তিনি বলেন, ‘আমি বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হতে পারিনি। আমাকে পুনরায় পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিন।’ কিন্তু ২০০৫ সালে তিনি লিঙ্কনস ইন থেকে বার অ্যাট ল ডিগ্রি অর্জন করেন বলে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া লন্ডনের উলভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি অনার্স ডিগ্রির কথাও উল্লেখ করেন। কিন্তু ফলাফল বা পাসের বছর বলা নেই।
জে বি এম হাসানের জীবনবৃত্তান্ত ১০০ শব্দের। কোনো তৃতীয় বিভাগ নেই। এলএলবি অনার্স ও এলএলএমে তিনি উচ্চতর দ্বিতীয় শ্রেণী পান। মামলা পরিচালনার অভিজ্ঞতাসংক্রান্ত কোনো তথ্য তিনি দেননি। বর্তমান সরকারের আমলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হন। ১৫ জনের মধ্যে তিনি কনিষ্ঠতম।
শপথ পাঠ না করা দুই অতিরিক্ত বিচারকের অন্যতম মো. খসরুজ্জামান এসএসসিতে প্রথম, পরের তিনটি পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগ পান। হাইকোর্ট বিভাগে প্রায় ১৪ বছর দেওয়ানি, ফৌজদারি ও রিট বিষয়ে মামলা পরিচালনায় অভিজ্ঞ বলে দাবি করেন তিনি। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেননি। তিনি ডিএজি হিসেবে আপিল বিভাগে মামলা করেন বলে উল্লেখ করেন। তিনি এ পদে নিয়োগ পান বর্তমান সরকারের আমলে। তাঁর বর্তমান স্থায়ী ঠিকানা খুলনার দৌলতপুর। কিন্তু একসময় যে তা গোপালগঞ্জের বিজয়পাশায় ছিল, তা তিনি উল্লেখ করেন।
মো. রুহুল কুদ্দুস ডিএলআর, বিএলডি ও এমএলআরে প্রকাশিত ১৩টি মামলায় যুক্ত থাকার নির্দিষ্ট তথ্য দিয়েছেন। তবে কোনো পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেননি। জানা যায়, ১৯৮১ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে ভর্তি হন। স্নাতক সম্মানে অধ্যয়ন করেন পাঁচ বছর। ১৯৮৬ সালে পরীক্ষা হয়। এতে অকৃতকার্য হন। সে কারণে তাঁকে বিএ পাসের একটি অনুকম্পা ডিগ্রি দেওয়া হয়। আইনে তাঁর একমাত্র ডিগ্রি এলএলবি। এতে তিনি তৃতীয় শ্রেণী পান।
প্রতিবেদনটি ২০১০ সালের পহেলা মে দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত