২০২২ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি-এইচএসসির সিলেবাসও কমবে | পরীক্ষা নিউজ

২০২২ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি-এইচএসসির সিলেবাসও কমবে

সরকার ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি ও এইচএসসির সিলেবাস কমানোর কথা ভবছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, করোনার কারণে ৯ম ও একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হয়েছে। তাদের সিলেবাসও কমানো হবে। তবে, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি ও এইচএসসির সিলেবাসের মত এত কমানো হবে না। ব

সরকার ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি ও এইচএসসির সিলেবাস কমানোর কথা ভবছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, করোনার কারণে ৯ম ও একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হয়েছে। তাদের সিলেবাসও কমানো হবে। তবে, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি ও এইচএসসির সিলেবাসের মত এত কমানো হবে না। 

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ শিক্ষার্থীকে প্রথমবারের মতো ভাইস চ্যান্সেলর'স অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন  পুনরায় খুলে দেয়ার জন্য দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত করা হয়েছে।  করোনা বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা ভাবছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

তিনি বলেন, দেশের সকল শিক্ষককে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও  কলেজগুলোর আবাসিক শিক্ষার্থীদেরও  অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা প্রদান করা হবে।

অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের  উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, শিক্ষা সচিব মো. মাহবুব হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। এওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কলেজসমূহ ছাড়াও অন্যান্য কলেজের অধ্যক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট, সিন্ডিকেট সদস্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আবদুস সোবহান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মীজানুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এম এ মান্নান ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েল উপাচায প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। 

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবারের মতো ভাইস চ্যান্সেলর’স এওয়ার্ড (স্বর্ণপদক) প্রবর্তন করেছে। আমাদের সবাইকে এই অনুষ্ঠান অনুপ্রাণিত করেছে। এখন থেকে প্রতিবছরই এই এওয়ার্ড প্রদান অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে যে বই দুইটি নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে সে বই দুটি শুধু আত্মজীবনীমূলক বই নয়, একজন ভাল মানুষ হিসেবে তৈরি হতে হলে বইগুলো পড়ার বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধুর লেখা তিনটি বই আকর গ্রন্থ। এই বইগুলো আমাদের সবার পাঠ্য হওয়া উচিত।’ 

অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, ‘একটি কর্মদক্ষ জনশক্তি তৈরি করার জন্য আমরা শিক্ষাটাকে এগিয়ে নিচ্ছি। আজকের অনুষ্ঠানে মেধাকে মূল্যায়ন করা হয়েছে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে বৈশ্বিক বাস্তবতায় আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের কায়িকশ্রম নির্ভর পেশায় যুক্ত হতে হবে। আমাদের রিস্কিল এবং আপস্কিল করতে হবে।’ 

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘আমি খুবই আনন্দিত আজকের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক অবদান রাখছে এবং সাফল্য দেখাচ্ছে।  এটি অনেকে আমরা জানি না। না জানার কারণে অনেকে নেতিবাচক মন্তব্য করেন।’ 

সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘আজ আমরা বিশেষ অনুষ্ঠানে মিলিত হয়েছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের জন্য আনন্দের দিন, স্মরণীয় দিন। অনেক জঞ্জাল পরিষ্কার করে আজকে আমরা এই পর্যায়ে এসেছি। শিক্ষার্থীদের মাঝে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের প্রতিযোগিতা তৈরি করতে হবে। তাহলে আমাদের পরিবেশ ও সমাজ পরিশিলিত হবে। এই পুরস্কার প্রবর্তনের মাধ্যমে সেই পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে মনে করি।