রাজশাহীর বাঘায় হতদরিদ্র দিনমুজর বাবার মেধাবী ছেলে সোহাগ আলম ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েও অর্থাভাবে লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের দেবত্তর বিনোদপুর গ্রামের দিনমজুর আকরাম আলীর ছেলে সোহাগ। আকরাম আলীর নিজের কোনো জায়গা-জমি নেই। অন্যের জমিতে ঘর করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন।
সোহাগ ২০১৬ সালে মনিগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ২০১৮ সালে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাঘা শাহদৌলা সরকারি ডিগ্রি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়ে কৃতিত্ব্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়। সে
২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ঢাবিতে এ ইউনিটে, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ইউনিটে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ইউনিটে এবং জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি ইউনিটে লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েও টাকার অভাবে লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তার।
বাবার ইচ্ছা ছিল ছেলেকে উচ্চতর লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ করবেন। কিন্তু তাঁর সে আশা কে করবে পূরণ। যার নুন আনতে পানতা ফুরায় তিনি কিভাবে ছেলের ভর্তির জন্য এত টাকা ব্যবস্থা করবেন। মানুষের কাজ করে সামান্য উপার্জন দিয়ে দু মুঠো খাবার জোগাতেই যার দুরূহ ব্যাপার, তিনি কিভাবে ছেলেকে শহরে পড়াবেন।