জাতীয় স্কুল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে একসময় স্কুলের মিছিল দেখা যেত। এ বছর ছবিটা বদলে যাচ্ছে। দেশের মাত্র ৫২টি স্কুল অংশ নিচ্ছে এবারের আসরে। সোমবার দেশের আটটি ভেন্যুতে একযোগে শুরু হবে এই টুর্নামেন্ট। স্কুলের সংখ্যা কম হওয়ার ব্যাখ্যা দিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। শুক্রবার বাফুফেতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘হাজার হাজার স্কুল নিয়ে টুর্নামেন্ট করার বাজেট আমাদের নেই।’ তিনি যোগ করেন, ‘বাচ্চাদের স্কিল বাড়াতে ফুটবল খুবই প্রয়োজন। তাই আমাদের এই ব্যবস্থা।’
সোমবার ছয়টি ভেন্যু এবং মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার বাকি ভেন্যুগুলোতে খেলা শুরু হবে। ভেন্যুগুলো হল- নড়াইলের বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ স্টেডিয়াম, দিনাজপুরের দিনাজপুর স্টেডিয়াম, বগুড়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা মন্তাজ উদ্দীন স্টেডিয়াম, পটুয়াখালীর অ্যাডভোকেট কাজী আবুল কাশেম পটুয়াখালী স্টেডিয়াম, ফরিদপুরের বাখুন্দা উপজেলা স্টেডিয়াম, হবিগঞ্জের জালাল স্টেডিয়াম, ফেনীর শহীদ সালাম স্টেডিয়াম ও মানিকগঞ্জের গরপাড়া সদর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম।
আট ভেন্যুর সেরা দল নিয়ে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে চূড়ান্তপর্বের খেলা।
প্রতিটি স্কুল অংশগ্রহণ ফি পাবে ১০ হাজার টাকা করে। প্রত্যেক ম্যাচের জয়ী দল তিন হাজার টাকা করে প্রাইজমানি পাবে। এছাড়া চূড়ান্তপর্বের চ্যাম্পিয়ন দল এক লাখ এবং রানার্সআপ দল পাবে ৫০ হাজার টাকা। এসব তথ্য জানান স্কুল ফুটবলের চেয়ারম্যান বিজন বড়ুয়া।