৫৪ বছর পর নামফলক বসলো শহীদ মতিউরের কবরে | বিবিধ নিউজ

৫৪ বছর পর নামফলক বসলো শহীদ মতিউরের কবরে

১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে ২৪ জানুয়ারিতে ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন কিশোর মতিউর হামান মল্লিক। এর ৪৯ বছর পর সরকার এই শহীদকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করলেও তার কবরের সন্ধান কারও জানা ছিল না। সর্বশেষ ৫৪ বছর পর শহীদের প্রতিবেশী, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ছাত্রনেতা চপল বাশার কবরে

১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে ২৪ জানুয়ারিতে ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন কিশোর মতিউর হামান মল্লিক। এর ৪৯ বছর পর সরকার এই শহীদকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করলেও তার কবরের সন্ধান কারও জানা ছিল না। সর্বশেষ ৫৪ বছর পর শহীদের প্রতিবেশী, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ছাত্রনেতা চপল বাশার কবরের সন্ধান দিয়েছেন। রাজধানীর গোপীবাগ পঞ্চায়েত কবরস্থানের বাঁপাশের কোণে শায়িত আছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার শহীদের কবরে স্থাপন করা হয়েছে নামফলক।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চপল বাশার। তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকালে স্থানীয় কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও স্থানীয় বাসিন্দারা শহীদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এর আগে কবরের পাশের দেয়ালে লাগানো হয় শহীদের নামফলক। এটি আমাদের জন্য কষ্টের হলেও স্বস্তিদায়কও। দেরিতে হলেও তার কবরের স্থান শনাক্ত করতে পেরেছি। তাকে কবরে রাখার সময় আমি ছিলাম। আমি নিজে তাকে কবরে নামিয়েছি।

কবর সংরক্ষণের বিষয়ে সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অনুরোধ জানানো হয়েছে জানিয়ে চপল বাশার বলেন, সম্মানের সঙ্গে শহীদের কবর সংরক্ষণ একমাত্র রাষ্ট্র করতে পারবে। সেজন্য মেয়র বরাবর দরখাস্ত দিয়েছি।

৫৪ বছর পর নামফলক বসলো শহীদ মতিউরের কবরে

তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, সিটি করপোরেশন থেকে শহীদ মতিউর রহমান মল্লিকের কবর সংরক্ষণ করবে। এদিকে ২৪ জানুয়ারি ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস স্বাধীন বাংলাদেশ প্রাপ্তির পথে তাৎপর্যপূর্ণ ও মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়।

কিন্তু সেদিন স্বাধীনতার সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করতে দেশের তরে যিনি জীবন উৎসর্গ করেছিলেন সেই মতিউর দিবসভিত্তিক কর্মসূচিতেই বন্দি ছিলেন। গণঅভ্যুত্থানে জীবনদানকারী নেপথ্যের নায়কের কবরের খোঁজ কেউ রাখেনি। অবশেষে ৫৪ বছর পর খুঁজে পাওয়া গেল মতিউর রহমান মল্লিকের সমাহিতের স্থান।