চট্টগ্রামে ৫৫ স্কুলছাত্রের মাথার চুল বিশ্রিভাবে কেটে দেয়ায় এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে আরো তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। মঙ্গলবার ফটিকছড়ি উপজেলার হেয়াকো বনানী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। তবে প্রথমে এটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করলেও এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার পর বুধবার এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দুপুরে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হবার পর বিভিন্ন শ্রেণির প্রায় ৫৫ ছাত্রকে লম্বা চুল রাখার অপরাধে একটি কক্ষে একত্রিত করেন শিক্ষক আলমগীর, তপন দাশ, শহীদুল্লাহ ও তৌহিদুল আলম।
এরপর বাজারের নাপিতের দোকান থেকে কাঁচি এনে শিক্ষক আলমগীর অন্যান্য শিক্ষকের সহায়তায় ৫৫ জন ছাত্রের মাথার চুল বিশ্রিভাবে কেটে দেন। এ ঘটনার পর ছাত্ররা বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষার হল থেকে বের হয়ে স্কুলে প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলে শিক্ষকরা তা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়। কিন্তু এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয় অভিভাবেকর মাঝে। তারা অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিচার দাবি করেন। অভিযোগ পেয়ে বুধবার ফটিকছড়ি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাবুল চন্দ্র নাথ বিদ্যালয়ে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। এর পর তিনি শিক্ষক আলমগীরকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মির্জা বখতেয়ার বকুল বলেন, বিষয়টি খুবই আপত্তিকর। ঘটনার সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে এবং একজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শুক্রবার পরিচালনা কমিটির মিটিংয়ে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাবুল চন্দ্র নাথ বলেন, বিনা কারণে বিশ্রি ভাবে ছাত্রদের চুল কাটার অভিযোগে আলমগীর নামে এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।