৫ শতাংশ সুদে গৃহঋণ পাবেন সরকারি কর্মচারীরা - দৈনিকশিক্ষা

৫ শতাংশ সুদে গৃহঋণ পাবেন সরকারি কর্মচারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক |

সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য গৃহঋণের সুদহার ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে এই সুদহার ১০ শতাংশ। বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী একজন সর্বোচ্চ ঋণ পান এক লাখ ২০ হাজার টাকা। এখন সর্বনিম্ন ১০ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এ ঋণ দেওয়া হয়। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে গঠিত একটি কমিটি এ প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে। প্রতিবেদনটি শিগগিরই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সম্মতি নিয়ে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলে এটা কার্যকর হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, এ প্রস্তাব কার্যকর হলে সরকারি চাকরিজীবীদের আবাসন সংকট কিছুটা হলেও নিরসন হবে। পাশাপাশি মেধাবীরা চাকরিতে আসতে উৎসাহী হবেন। এ ছাড়া ঋণপ্রাপ্তি সহজলভ্য হলে অনেকেই ফ্ল্যাট কিনতে এগিয়ে আসবেন; চাঙ্গা হবে আবাসন খাত। যোগাযোগ করা হলে রিহ্যাবের সহসভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া বলেন, সরকারের এ ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। পাশাপাশি স্বল্প আয়ের মানুষের জন্যও কম সুদে গৃহঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।

বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি বাড়ি নির্মাণ কিংবা ফ্ল্যাট কেনার জন্য ঋণ নিতে পারেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এ জন্য সরকারের নিজস্ব একটি তহবিল রয়েছে। প্রতিবছর বাজেটে এ খাতে আলাদা বরাদ্দ রাখা হয়। সূত্র জানায়, ১৯৮২ সাল থেকে এ সুবিধা চালু রয়েছে। তখন সরকারি চাকরিজীবীদের যে বেতন কাঠামো ছিল, সে অনুযায়ী মূল বেতনের ৪৮ মাসের সমপরিমাণ (এক লাখ ২০ হাজার টাকা) গৃহনির্মাণ খাতে ঋণ দেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছিল। সুদ-আসলসহ ৪৮ কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করতে হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে বেতন বাড়ানো হলেও গৃহনির্মাণ খাতে ঋণ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়নি। যদিও ঋণসীমা আরও বাড়ানোর দাবি করে আসছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কমবেশি ৯ শতাংশ সুদে আবাসন খাতে ঋণ দিচ্ছে। সরকার এ খাতে সুদহার বাজারভিত্তিক করতে চায়। সে জন্য দীর্ঘ বছর পর গৃহনির্মাণে ঋণ সুবিধা দেওয়ার নীতিমালা সংশোধন করতে যাচ্ছে সরকার। তারই পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করে। কমিটির দেওয়া সুপারিশ বা প্রস্তাব পর্যালোচনা করা হবে। এর পর প্রস্তাবটি মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।

একজন সরকারি চাকরিজীবী  বলেন, গত ৩০ বছরে সরকারি খাতে বেতন বহুগুণ বাড়লেও ঋণ নেওয়ার সীমা ও সুদহার একই রাখা হয়েছে। এটা বাস্তবসম্মত নয়। উচ্চহারে সুদ ও ঋণের পরিমাণ অত্যন্ত কম হওয়ার কারণে অনেকেই ঋণ নিতে উৎসাহী নন। তবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব কার্যকর হলে উৎসাহিত হবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এতে করে বাসস্থানের সংকট অনেকটা দূর হবে বলে মনে করছেন তিনি। কমিটির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে যারা জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত আছেন, তাদের ক্ষেত্রে ১০ লাখ টাকা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া যেতে পারে। এখন একজন সরকারি চাকরিজীবী ফ্ল্যাট ক্রয় কিংবা বাড়িঘর নির্মাণ করতে চাইলে এক লাখ ২০ হাজার টাকার বেশি ঋণ নিতে পারেন না। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র বলেছে, বর্তমান পে স্কেলে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। ফলে অনেকেরই ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা আছে। এ জন্য সুদ কমিয়ে দিলে এবং ঋণের সীমা বৃদ্ধি করলে ফ্ল্যাট ক্রয়ে উৎসাহিত হবেন তারা।

কমিটির প্রস্তাবে আরও বলা হয়, বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে অলস টাকার পরিমাণ অনেক। একই সঙ্গে অবিক্রীত ফ্ল্যাটের সংখ্যাও বাড়ছে। একজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য একটি নিজস্ব বাসস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফলে প্রস্তাবটি কার্যকর হলে সরকারি চাকরিজীবীরা উপকৃত হবেন। পাশাপাশি আবাসন শিল্পও লাভবান হবে। কমিটি আরও বলেছে, প্রয়োজনে এ খাতে ভর্তুকি দেওয়া যেতে পারে। ভর্তুকি দেওয়া হলে সুদহার ৮ শতাংশ করা যেতে পারে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ দেবে ঋণগ্রহীতা, অর্থাৎ সরকারি চাকরিজীবীরা। বাকি ৩ শতাংশ সরকার পরিশোধ করবে ভর্তুকি বাবদ। এ জন্য বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ আরও বাড়ানোর প্রস্তাব করে কমিটি বলেছে, এ জন্য সরকারকে অতিরিক্ত অর্থ দিতে হবে না। কারণ, চাকরিজীবীদের জমানো পেনশনের যে টাকা কোষাগারে জমা থাকবে, সেখান থেকে অর্থের সংস্থান করা সম্ভব হবে। কমিটির একজন সদস্য বলেন, ৫০ শতাংশ পেনশন গ্রহণের বাধ্যবাধকতা প্রবর্তন করতে যাচ্ছে সরকার। তাই গ্র্যাচুইটির একটি নির্দিষ্ট অংশকে ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নিয়ে ঋণের সিলিং নির্ধারণ করা যেতে পারে। উল্লেখ্য, বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা প্রায় ২১ লাখ। এর মধ্যে স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিতসহ এমপিওভুক্ত শিক্ষক রয়েছেন পাঁচ লাখ।

শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি: শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় - dainik shiksha অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত - dainik shiksha জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ মে’র পরীক্ষা স্থগিত হিটস্ট্রোকে সাতক্ষীরায় শিক্ষকের মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে সাতক্ষীরায় শিক্ষকের মৃত্যু হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয় - dainik shiksha হিটস্ট্রোকের লক্ষণ ও করণীয় দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ করতে শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ - dainik shiksha চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ করতে শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ শিক্ষিকার উত্যক্তকারীকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ - dainik shiksha শিক্ষিকার উত্যক্তকারীকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ সর্বজনীন পেনশনে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি - dainik shiksha সর্বজনীন পেনশনে অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0032157897949219