জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার ফল প্রকাশিত হয়েছে। শনিবার (২৫ জুলাই) এ ফল প্রকাশ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি। প্রতিযোগিতায় ৬ মিনিটের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারার ওপর ভিত্তি করে কম্পিউটার ফল মূল্যায়ন করে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ‘শতবর্ষে শত পুরস্কার’ এই থিমের ভিত্তিতে প্রথম ১০০ জনকে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়।
জানা যায়, গত ৭ জুন ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলন ও এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন বিষয়ে সকলকে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা’ শিরোনামে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এ অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
প্রতিযোগিতায় দেশে বসবসকারী বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি, পেশা ও বয়সের ১ লাখ ৯ হাজার ৯২৯ জন প্রার্থী নিবন্ধন করেন। পরে ৪৬ হাজার ৬৭৫ জন প্রতিযোগী অংশ নেয়। উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১০০ জনের তালিকায় ৩৭ জন নারী বিজয়ী রয়েছেন। ৬ মিনিটের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পেরে তিন লাখ টাকার ১ম পুরস্কার বিজয়ী হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. ইমতিয়াজ পাশা। দ্বিতীয় পুরুস্কার পেয়েছেন পুন্ড্র বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক তালহা জোবায়েদ, তিনি পাচ্ছেন দুই লাখ টাকা। আর ৩য় পুরস্কার জয়ী মাগুরা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী এস এম ফাহাদ আব্দুল্লাহ রাকিব,তিনি পাচ্ছেন ১ লাখ টাকা। পঞ্চাশ হাজার টাকার ৪র্থ পুরস্কার জয়ী নওগাঁর প্রকৌশলী মো. রায়হান হোসেন এবং পঁচিশ হাজার টাকার ৫ম পুরস্কার জয়ী খুলনার রেলওয়ে বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক খুকু রাণী ঘোষ। এছাড়াও পরবর্তী ৯৫ জন প্রতিযোগীর প্রত্যেকে দশ হাজার টাকার বিশেষ পুরস্কার জয় করেছেন।
মুজিববর্ষের ওয়েবসাইটে (Quiz.mujib100.gov.bd) ফলাফল প্রকাশ করা হবে। কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরযুক্ত সনদ প্রদান করা হবে। পবিত্র ঈদ-উল-আযহার পর সুবিধাজনক তারিখ ও সময়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের মধ্যে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ করা হবে বলে জানা গেছে। মুজিববর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশব্যাপী অভূতপূর্ব যে অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার সূচনা হলো, তা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ জ্ঞানভিত্তিক সমাজ তৈরিতে সরাসরি অবদান রাখবে।