৬ শিক্ষকের তিন দিনের বেতন কাটার নির্দেশ দিলেন ইউএনও

৬ শিক্ষকের তিন দিনের বেতন কাটার নির্দেশ দিলেন ইউএনও

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলা সদরের হোসেনপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে সরকারের নিদের্শনা মোতাবেক ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাস শুরু হয়েছে। দুই জন বরখাস্তকৃত শিক্ষককে পুনর্বহালের দাবি করে ক্লাস নেওয়া থেকে বিরত থাকেন বিদ্যালয়ের এমপিওভুক্ত ৬ জন শিক্ষক। ক্লাস বর্জন করা শিক্ষকদের তিন দিনের বেতন কাটার নির্দেশ দিয়েছেন

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলা সদরের হোসেনপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে সরকারের নিদের্শনা মোতাবেক ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ক্লাস শুরু হয়েছে। দুই জন বরখাস্তকৃত শিক্ষককে পুনর্বহালের দাবি করে ক্লাস নেওয়া থেকে বিরত থাকেন বিদ্যালয়ের এমপিওভুক্ত ৬ জন শিক্ষক। ক্লাস বর্জন করা শিক্ষকদের তিন দিনের বেতন কাটার নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  নির্বাহী অফিসার রাবেয়া পারভেজ। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ইউএনও দৈনিক শিক্ষাডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্কুল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.আবুল কালাম আজাদ বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে যান। এসময় ২জন বরখাস্তকৃত শিক্ষকসহ ৮ জন শিক্ষককে স্টাফ রুমে  বসে গল্প করতে দেখেন। প্রধান শিক্ষকের কক্ষে সব শিক্ষককে একত্রিত করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সরকারের নিদের্শনা মেনে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়ার আহ্বান জানান। ওইস্কুলে বরখাস্ত দুই শিক্ষকের জন্য ১২ সেপ্টেম্বর থেকে এমপিওভুক্ত ৬ জন শিক্ষক ক্লাসবর্জন করছিলেন। 

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া পারভেজ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্লাস বর্জনের বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের সাথে কথা বলেন।

পরে ইউএনও রাবেয়া পারভেজ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকদের বিষয়টি আপিল পর্যায়ে আছে। এখানে আমাদের করণীয় কিছুই নেই। আপিলের সিদ্ধান্ত আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তাদের এই দাবি বেআইনী। তাছাড়া তারা ওই দুই শিক্ষকের বেতন ভাতার দাবি করেছিলেন এবং আমি তাদের বেতন দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছি। কিন্তু এতদিন পর স্কুল খোলার পরে ছাত্রদের জিম্মি করে ক্লাস বর্জন স্পষ্টত সরকারের নির্দেশ অমান্য করা। 

ইউএনও আরও বলেন, সরকারি বেতন ভাতাদি গ্রহণ করে ছাত্রদের পাঠদানে বিরত থাকার সুযোগ নেই। তাদেরকে ক্লাসে ফিরতে বলা হয়েছে এবং এই তিনদিন ক্লাস না নিয়ে দায়িত্ব পালন না করায় শিক্ষকদের বেতন কর্তনসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্কুল প্রধান ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।