সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন ১৩ গ্রেডে উন্নীত করতে ৭০০ টাকা ঘুষ দিয়ে বেতন বেড়েছে ৭০ টাকা। গ্রেড পরিবর্তনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ শতাধিক সহকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে ৭০০ টাকা করে এই ঘুষ নেয়ার অভিযোগ পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৃথক স্কুলের কয়েকজন সহকারী শিক্ষক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১৫তম গ্রেড থেকে ১৩তম গ্রেডে উন্নীত করার কাজ শুরু করে উপজেলা শিক্ষা অফিস। আর ওই কাজে প্রত্যেক শিক্ষকের কাছ থেকে উৎকোচ নেয়া হচ্ছে ৭০০ টাকা হারে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আর টাকা হাতে নিয়েই তবে স্বাক্ষর করা হয় ফাইলে। ওই উপজেলায় ২৩৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ১ হাজার ২৭৫জন শিক্ষকের মধ্যে ৫ শতাধিক কর্মরত আছেন সহকারী শিক্ষক পদে। মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এদের বেতন ১৫তম গ্রেড থেকে ১৩তম গ্রেডে উন্নীত হচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সহকারী শিক্ষক আক্ষেপ করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘৭০০ টাকা ঘুষে বেতন বাড়ছে ৭০টাকা। আগের গ্রেডে বেসিক ছিল ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা। এবার ৫০ টাকা বেড়ে ১৮ হাজার ৫১০ টাকা হয়েছে। আর ওই অনুপাতে ২০ টাকা বাড়ি ভাড়া বেড়েছে। এতে আগের চাইতে মোট ৭০ টাকা বেতন বাড়ছে।’
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
তিনি আরও বলেন, ‘এই শিক্ষা অফিসার খুবই খারাপ। সুযোগ পাইলেই ঘুষ নেয়। মিডিয়ায় এইসব খবর আইলেও ওনার কিছু অয় না। ওনি ১০০ টাকাও ঘুষ খায়।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রিয়াজুল হক ঘুষ নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, শিক্ষদের গ্রেড পরিবর্তনের জন্য ইএফটি ও সার্ভিস বহিঃ তৈরি করে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনেকেরই গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেড পরিবর্তনের কাজ চলছে।