ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগামী সাতদিনকে চ্যালেঞ্জিং হিসেবে উল্লেখ করছেন সরকারের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক সানিয়া তহমিনা। শনিবার (১৭ আগস্ট) নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। ‘কেনো আগামী সাতদিনকে চ্যালেঞ্জিং বলা হচ্ছে?’ এমন প্রশ্ন সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে করা হয়েছিল দেশের প্রখ্যাত চিকিৎসক অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহকে।
অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহ ‘ডেইলি স্টারের’ একজন সাংবাদিককে বলেছেন, “গত কয়েকদিন বৃষ্টি হয়েছে। এরকম গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হলে ডেঙ্গু মশার সংখ্যা বেড়ে যায়। মুষলধারে বৃষ্টি হলে তেমন সমস্যা হতো না। মশার সংখ্যা বাড়লে তো ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা থাকে। সেজন্যেই হয়তো আগামী সাতদিনকে চ্যালেঞ্জিং বলা হচ্ছে।”
মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ আসলে কতটুকু হয়েছে বলে মনে করছেন?- “কাজ আসলে কতটুকু হয়েছে তা তো বলা মুশকিল। কেননা, মশা তো কমে নি। আমার মনে হয় কর্তৃপক্ষ মশা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। প্রাকৃতিক উপায়ে যদি কমে, তাহলে হয়ত কমবে।”
জনমনের আতঙ্ক দূর হবে কীভাবে?- “ডেঙ্গুর ঝুঁকিটা এখনো রয়ে গেছে। বৃষ্টির জন্যে এডিস মশা আরও বাড়তে পারে। তবে আতঙ্কের কিছু নেই। জনগণকে সতর্ক থাকতে হবে।”
এমন পরিস্থিতিতে জনগণের করণীয় সম্পর্কে ডা. আবদুল্লাহ বলছিলেন, “জ্বর হলে কোনো রকম সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। হুট করে পরীক্ষা করা বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দরকার নেই। ডাক্তারকে আগে দেখিয়ে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
“এছাড়াও, মশার কামড় থেকে বাঁচার জন্যে যা যা করার তাই করতে হবে। যেমন, দিনের বেলাতেও বিছানায় মশারি টাঙিয়ে শুতে হবে। যতোটা সম্ভব লম্বা কাপড় ও মোজা পড়ে থাকতে পারলে ভালো হয়। সম্ভব হলে বাড়ির আশে-পাশে স্প্রে করতে হবে। জমানো পানি যেনো না থাকে সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। আসলে একটি সম্মিলিত উদ্যোগ দরকার, যা খুব একটা পরিলক্ষিত হচ্ছে না,” যোগ করেন অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহ।