‘আমি আ*ত্মহ*ত্যা করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে’ - দৈনিকশিক্ষা

‘আমি আ*ত্মহ*ত্যা করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে’

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক:  ক্যাম্পাসে নির্যাতনের বিচার না পেয়ে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থী। অব্যাহত হত্যার হুমকির মুখে তিনি বলেছেন, ‘আমি আত্মহত্যা করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।’ 

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন। 

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ ও ফার্মাসি বিভাগের মধ্যে ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত প্রীতি ফুটবল ম্যাচের সময় দুই বিভাগের খেলোয়াড়রা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফার্মাসি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রনি মৃধা ওই রাতে ১০-১২ সহযোগীকে নিয়ে সাজ্জাদকে লোহার পাইপ দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। ছুরি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন। পরে সাজ্জাদকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
 
তবে রনি মৃধা অভিযোগ স্বীকার করেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কমিটি না থাকলেও তিনি নিজেকে এ সংগঠনের কর্মী বলে দাবি করেন। 

সাজ্জাদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘গত ১১ দিন আমি ঠিকভাবে ঘুমাতে পারিনি।  সব সময় হতাশা ও ভয়ের মধ্যে থাকতে হয়।  যারা আমাকে বেধড়ক মারধর করল তারা ক্যাম্পাসে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।  আমার মনে হয়, আমি  সঠিক বিচার  পাব না।  যে কোনো সময় আমাকে মেরে ফেলবে। আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাই আমি আত্মহত্যা করলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমার লাশটি যেন  বাবা- মায়ের কাছে পৌঁছে দেয়।’ 

সাজ্জাদ এ ঘটনার বিচার  ও নিজের নিরাপত্তা চেয়ে  বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। বিচার না পেয়ে তিনি অনশনও করেছেন। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। 

অভিযুক্ত রনি মৃধা বলেন, ‘মারপিটের ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। আমি তাকে হত্যার হুমকি দেইনি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি ছাত্রলীগ করি, তাই আমার ইমেজ ক্ষুন্ন করতে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমার ক্যারিয়ার ধ্বংস করতে একটি চক্র আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়ে ফায়দা লুটতে চাচ্ছে। আমি ক্যাম্পাসের নোংরা রাজনীতির শিকার। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে।’ 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দলিলুর রহমান বলেন, তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তারা দু-এক দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সরকারি স্কুলে শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশ পেলেন ১ হাজার ১১৬ প্রার্থী - dainik shiksha সরকারি স্কুলে শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশ পেলেন ১ হাজার ১১৬ প্রার্থী প্রশ্নকর্তা অজ্ঞাতে, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কাল - dainik shiksha প্রশ্নকর্তা অজ্ঞাতে, প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কাল শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে ইসিতে চিঠি - dainik shiksha শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে ইসিতে চিঠি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় সাড়ে ১৮ লাখ আবেদন - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় সাড়ে ১৮ লাখ আবেদন যা আছে শিক্ষামন্ত্রীর হলফনামায় - dainik shiksha যা আছে শিক্ষামন্ত্রীর হলফনামায় নতুন শিক্ষাক্রমের শিক্ষক প্রশিক্ষণ স্থগিত - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রমের শিক্ষক প্রশিক্ষণ স্থগিত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.006443977355957